মালেক জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাদুঘর
এই গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা হাজ হোসেন আগামালেক তাঁর পাঠের আগ্রহের কারণে বই-পুস্তক ও সন্দর্ভসমূহের মূল্যবান এক সংগ্রহশালা তৈরী করেছিলেন।
এই সংগ্রহশালাটি ইরানের সর্বপ্রথম ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার। তিনি তাঁর পৈতৃক বাড়ি এবং জন্মস্থান তেহরানের প্রসিদ্ধ হারামাইন বাজারে এটা প্রতিষ্ঠা করেন
যা পরবর্তীকালে একটি স্বনামধন্য গ্রন্থাগারে পরিণত হয়।
ফারসি ১৩১৮ সালে (১৯৩৯ খ্রি.) তিনি অস্তানে কুদ্সে রাযাভির (ইমাম রেযার পবিত্র মাজার শরীফ কমিটির) কাছে লাইব্রেরিটি ওয়াক্ফ করে দেন,
কিন্তু যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন (১৩৫১ সালের শীতকালে) ততদিন পর্যন্ত বই ক্রয় এবং গ্রন্থাগার পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব তাঁরই ছিল।
১৩৪২ সালে একই স্থানে লাইব্রেরির জন্য তিনটি সংরক্ষণাগার এবং ১৫০ বর্গমিটার আয়তনের একটি পাঠকক্ষ তৈরি করা হয়েছিল,কিন্তু ১৩৪৬ (১৯৮৫) সালে জায়গা কম হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পাশে ৬,০০০ বর্গমিটারের একটি নতুন গ্রন্থাগার নির্মাণ শুরু হয়। এই ভবনের দশ হাজার বর্গমিটারের অবকাঠামো রয়েছে,যার মধ্যে ৫,০০০ মিটার গ্রন্থাগারের জন্য এবং আরও ৫,০০০ মিটার জাদুঘরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৩৭৬ সালের দেই মাসে (১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে) পুরানো ভবন থেকে নতুন ভবনে লাইব্রেরিটি স্থানান্তরের পর গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এই লাইব্রেরিতে ১৮,০০০টিরও বেশি খুব মূল্যবান হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি রয়েছে। এই অংশে একটি বাঁধাই এবং পুনরুদ্ধার ইউনিট আছে। এই লাইব্রেরির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো মালেক জাতীয় জাদুঘর,যা নিচতলায় এবং বেজমেন্টে অবস্থিত। এই জাদুঘরে কামালুল মুল্ক এবং কাজার যুগের বিখ্যাত শিল্পীদের ১২টি অনন্য চিত্রকর্ম এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়ের স্বর্ণমুদ্রা প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে।
এই জাদুঘরের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদের মধ্যে রয়েছে ইতালীয় কলমদানি ও তৈলচিত্র, দেয়ালচিত্র, সূক্ষ্মভাবে অঙ্কিত ক্ষুদ্র পাত্রসমূহ এবং সেই সাথে রয়েছে বায়সাঙ্কার মির্জা তৈমুরির ক্যালিওগ্রাফির বিভিন্ন খণ্ড,রেযা আব্বাসির হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি,হাকিম হাজ মোল্লা হাদি সাবজেভারির চশমা ও ফটোগ্রাফ, নাসিরুদ্দীন শাহ কাজারের বোনের সাথে মির্জা তাকী খান আমীর কবীরের বিয়ের কাবিন এবং ডাকটিকিটের সংগ্রহ।
মালেক জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাদুঘর | |