এজেন্সি
ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম

ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম

ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম
ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম বা আন্তর্জাতিক পুতুল জাদুঘর হলো একটি ব্যক্তিগত জাদুঘর যা তেহরানে ফারসি ১৩৯৩ সালের মেহর মাসের আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি দিবসে মাসউদ নাসেরি দারিয়াই,আলী গোলশানের প্রচেষ্টায় এবং ফরিদে নাসেরি দারিয়াইয়ের সহযোগিতায় চালু করা হয়েছে। এই জাদুঘরের সংগ্রহে বিশ্বের 54টি দেশের,বিশেষ করে ইউরোপ,লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার ৭০০টি পুতুল রয়েছে। অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকার পর বর্তমানে জাদুঘরটি তেহরানের সাউথ নাফ্ট স্রিট,মীর দামাদ স্ট্রিটে একটি ৮০ বছরের পুরোনো বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং নতুন জায়গায় গুরুত্ব সহকারে তার কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। ১৩৯৫ সালে এই স্থানান্তর কর্মে স্পন্সর করে ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম সমর্থক গ্রুপ,কালচারাল ফোরাম অব দি ক্লোজ ফ্রেইন্ডস, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) ও স্মল গ্রান্টস প্রোগ্রাম (এসজিপি)।

বর্তমানে এই জাদুঘরে ৮০টি দেশ ও সংস্কৃতির ২০০০টিরও বেশি পুতুল রয়েছে;আফগান পুতুল,রাশিয়ান ম্যাট্রিওশকা পুতুল,গুয়াতেমালার পুতুল, চীনা পুতুল, ঘানার আকুয়াবা পুতুল,পোল্যান্ডেরর ল্যাকোনিক পুতুল,আরবীয় পুতুল,জাপানি দারুমা পুতুল,অটোমান পুতুল, যেমন: হুররাম সুলতানের পুতুল,ভারতীয় দেব-দেবীদের পুতুল, যেমন: শিব ও পার্বতীর পুতুল, তাজিকিস্তানের মুখবিহীন পুতুল,সুইডিশ ডাকিনী পুতুল, অস্ট্রিয়ান পুতুল,আর্মেনিয়ান পুতুল,জল বিক্রেতার পুতুল,ভুট্টার পুতুল যা দক্ষিণ আমেরিকার প্রধান পুতুল, খোরাসানের আপেলের পুতুল,ধানের কাণ্ড দিয়ে তৈরি গিলান পুতুল,মোবারক ও তাবারক পুতুল,মাজানদারানের বৃষ্টি প্রার্থনার পুতুলগুলো হলো সংগ্রহের একটি ছোট অংশ যা ইরান ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৫ বছর ধরে শিশু মনোবিজ্ঞানী মাসুদ নাসেরি দারিয়াই,আলী গোলশানির সহযোগিতায় সংগ্রহ করেছেন। মহাদেশের উপর ভিত্তি করে প্রদর্শিত এই পুতুলগুলো দর্শনার্থীদের কাছে রীতিনীতি,আচার, পোশাক, সংগীত, হস্তশিল্প, জীবন,গল্প, কিংবদন্তি এবং অন্যান্য ইরানি ও বিশ্ব সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে উপস্থাপন করে।

জাদুঘরটি ১৩৯৪ সালে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংস্থা থেকে শীর্ষ কিউরেটর পুরস্কার জিতেছিল এবং এটি ১৩৯৪ থেকে ১৩৯৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষা,শিশু,উদ্ভাবন,সংরক্ষণ এবং সংগ্রহের ক্ষেত্রে  ICOM এর পক্ষ থেকে শীর্ষ জাদুঘরের পুরস্কার পেয়েছে। এই দুই বছরে ১৪০০০ এরও বেশি স্কুল,প্রিস্কুল ও কিন্ডারগার্টেনের ছাত্রছাত্রীরা জাদুঘরটি পরিদর্শন করে। এতে বোঝা যায় যে, জাদুঘরের কার্যক্রম এবং কর্মপদ্ধতি অনেকাংশেই সফল হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম

:

:

:

: