জাতীয় গহনা জাদুঘর , তেহরান
জাতীয় গহনা জাদুঘর , তেহরান
ইরানের সেরা জাদুঘরগুলোর অন্যতম হলো জাতীয় গহনা জাদুঘর। চমৎকার,মনোমুগ্ধকর ও অমূল্য গয়না দেখার দারুন সুযোগ রয়েছে এই জাদুঘরে।
এটি ফেরদৌসি স্ট্রিটে এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইরানের বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে অবস্থিত।
জাতীয় গহনা জাদুঘরের ভিতরে
কিছু সিঁড়ি বেয়ে নেমে বিশাল নিরাপত্তার দরজা দিয়ে ঢুকে পড়লেই সেই রত্নভাণ্ডার। প্রথমত রাখা হয়েছে চমৎকার ময়ূর সিংহাসন যা থেকে চোখ ফেরানো যায় না।
মূল্যবান রুবি,রত্নপাথর,অমূল্য মুকুট ও টায়রা, অগণিত হীরা,দামী তলোয়ার এবং রত্ন দিয়ে সজ্জিত ঢালগুলো জাদুঘরের নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও,জাদুঘরের মধ্যভাগে রয়েছে জাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত বস্তু,অত্যুজ্জ্বল হীরার সংগ্রহ।
জাতীয় গহনা জাদুঘরের ইতিহাস
সাফাভি রাজবংশের আগে পারস্য রত্নভাণ্ডারের মালিকানা স্পষ্টভাবে আলাদা করা হয়নি। তবুও কালক্রমে সরকার সেগুলো সংগ্রহ করে জাতীয় গহনা জাদুঘরে সংরক্ষণ করেছে।
বর্তমান রত্নভাণ্ডারে সাফাভি,কাজার ও পাহলভি রাজবংশের মূল্যবান বস্তু রয়েছে। সাফাভি ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা ভারত,অটোমান,ফ্রান্স
এবং ইতালি থেকে এই মূল্যবান জিনিসপত্র রাজধানী শহর ইসফাহানে নিয়ে এসেছিলেন। বছরের পর বছর ধরে পারস্যের রাজারা এই গহনা থেকে কিছু কিছু গহনা উপহার হিসাবে অন্যান্য জাতিকেও দিয়েছিলেন।
কখনও কখনও তারা যুদ্ধ জয়ের চিহ্ন হিসাবে এগুলো অর্জন করেছেন। অবশেষে ১৯৫৫ সালে বর্তমান রত্নভাণ্ডারটি নির্মিত হয় এবং চার বছর পরে এটি ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পত্তিতে পরিণত হয়।
জাতীয় গহনা জাদুঘর শনিবার থেকে মঙ্গলবার ২টা থেকে ৪.৩০টা পর্যন্ত পরিদর্শনের জন্য খোলা থাকে। দর্শনার্থীদের জন্য একটি বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে;১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই জাদুঘর দেখতে পারবে না।
জাতীয় গহনা জাদুঘর , তেহরান | |