বাগচে জুক জাদুঘর, পূর্ব আজারবাইজান
এই জাদুঘরটি বাগচে জুক প্রাসাদে অবস্থিত। এটি ১৯৮৬ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখানে কাজার যুগের (১৭৮৫-১৯২৫) একজন সেনাপতি এবং মাকুর গভর্নর ইকবাল আল-সুলতানে মাকুইয়ের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়। জাদুঘরটির স্থাপত্য সৌন্দর্য- যা ইউরোপীয় ও পার্সিয়ান শৈলীর সংমিশ্রণ এবং একই সাথে মখমলের ওয়ালপেপার,বুটিদার পর্দা, প্রাচীন আসবাবপত্র,চীনামাটির ও খোদাই করা কাচের ঝাড়বাতিসহ এর অমূল্য সম্পদের জন্য জাদুঘরটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় ও প্রিয় একটি স্থান। বলা হয় যে, বাগচেহ জুগ প্রাসাদের অনেক মূল্যবান জিনিস রাশিয়ার রাজার কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া। জাদুঘরের একটি মূল্যবান সম্পদ হলো ইরানে আনা প্রথম গ্রামোফোন।
১৯ শতকের শেষের দিকে প্রাসাদের বিলাসবহুল ভবনটি দোতলা আকারে একটি উঁচু পাহাড়ের ধারে একটি বাগানের মধ্যে ইরানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং পশ্চিমা বিশেষ করে রাশিয়ান স্থাপত্যের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদ-জাদুঘর হিসেবে অসামান্য শৈল্পিক ও স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এই প্রাসাদ সম্পর্কে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে এই জাদুঘরে সেনাপতি ইকবালের জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র রয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগই রাশিয়ার শাসক ও রাজদরবারের নিকট থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত, বিশেষ করে মুজাফফর উদ্দীন শাহের শাসনামলে ইরানের উপর তার যথেষ্ট প্রভাব থাকার কারণে তাঁকে এই উপহারগুলো দেওয়া হয়।
বাগচে জুক জাদুঘর, পূর্ব আজারবাইজান | |