আসেফ ভাযিরি ম্যানশান (কুর্দিস হাউস),সানানদায
অট্টালিকার মূল ভবনটিতে উত্তর দিকের বেশিরভাগ অংশ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে আচার-অনুষ্ঠানের জন্য হল,অন্যান্য কক্ষ এবং করিডোরের অংশসমূহ। পূর্বদিকের কিছু অংশ সাফাভি যুগের সাথে সম্পর্কিত এবং অন্যান্য অংশ বা উপাদান যুক্ত করা হয়েছে কাজার ও পাহলভি যুগে। মোতামেদ হাশেমিহার পরিবার (আমজাদ আল-আশরাফ) এই ভবনের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত এবং সম্ভবত মির্জা মোহাম্মদ রেযা ভাজিরি (আসেফ দিভানের পিতা) এর মালিকানা লাভ করেছিলেন। আসেফ দিভানের সময়ে এই ভবনটি প্রবেশদ্বার (ইরানি বারোক শৈলীতে ইট দ্বারা নির্মিত সম্মুখভাগ) এবং এর পূর্ব ও পশ্চিম অংশ নির্মাণের মাধ্যমে চূড়ান্ত চমৎকারিত্ব অর্জন করে।
কুর্দিস্তানের কালচারাল হেরিটেজ অর্গানাইজেশনকে ফারসি ১৩৭৬ সালে (১৯৯৭ খ্রি.) এই ভবনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি ১৩৮২ সালে (২০০৩ খ্রি.) ইরানের একটি উপজাতির সাথে সম্পর্কিত বৃহত্তম নৃতত্ত্ব জাদুঘর হিসাবে পুনরায় চালু করা হয়। স্টাকো,খোদাই করা পাথর,আয়নার সজ্জা,খোদাই করা ইট এবং বাঁকানো খিলানগুলো দক্ষতার সাথে এই ভবনে প্রতিফলিত হয়েছে।
ভবনের প্রবেশদ্বার, প্রবেশদ্বারের করিডোর,জলাশয় এবং বিভাজক জল কক্ষ ছাড়াও এর চারটি গেট রয়েছে যা বাইরের প্রাঙ্গণ (প্রধান),ভিতরের প্রাঙ্গণ,সবজি বাগান এবং কর্মচারীদের আঙিনা নামে পরিচিত। ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ইরানি স্নানাগারের স্থাপত্য শৈলীতে একটি বিশেষ স্নানাগার তৈরি করা হয়েছিল।
বর্তমানে এর দক্ষিণ অংশটি গ্যালারিতে পরিণত হয়েছে এবং ইটের গম্বুজসম্বলিত অন্য অংশটি একটি ঐতিহ্যবাহী কফিহাউসে পরিণত হয়েছে;এছাড়াও,মূল পুলটি সংস্কার করা হয়েছে এবং এর চারপাশে একটি বারান্দা তৈরি করা হয়েছে।
আসেফ ভাযিরি ম্যানশান (কুর্দিস হাউস),সানানদায | |