এজেন্সি
আশুরা

আশুরা

আশুরা

মুহররম মাসের  ১০ম দিনে বিশ্বব্যাপী আশুরার শোক পালন করা হয়। ৬১ হিজরির এই দিনে মহানবী (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর কিছু নিকট আত্মীয় ও কয়েকজন একনিষ্ঠ অনুসারীসহ কারবালার ময়দানে পাপিষ্ঠ ইয়াযিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বীরত্বের সাথে শাহাদাতবরণ করেন। এই দিনটির স্মরণে ইরানের প্রতিটি অঞ্চলে শোকানুষ্ঠান পালন করা হয়। মুহররম মাসের শুরু থেকেই মসজিদে, হোসাইনিয়ায় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে শোক মজলিশ, মর্সিয়া পাঠ, মাতম চলতে থাকে। আশুরার দিনে ইরানে দোয়ার আসর,শোকসভা এবং শোক শোভাযাত্রা হয়। জনগণ রাস্তায় নেমে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতে মাতম ও শোকগাথা পরিবেশন করে। সড়কের পাশে ও খোলা স্থানে সমবেত মানুষের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কারবালার ঘটনা বর্ণনা করা হয়। তুলে ধরা হয় হযরত হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের পর ইমাম পরিবার কী ভয়াবহ দুর্যোগে পড়েছিলেন। তাদের খিমা বা তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইমামবংশের মাসুম শিশুরাও নির্মম নির্যাতনের অসহায় শিকার হয়েছিলেন।

এ দিনে ইরানের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে কালো পোশাক পরা শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।  অনেকেই শোকার্ত মানুষের মাঝে নানা ধরনের খাবার বিলি করেন। শোকের মিছিলে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও থাকে। তারা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গঠন করার অঙ্গীকার করে। রাস্তায় বা বিভিন্ন মাঠে তাযীয়াহনামেপরিচিতবিষাদময়নাটিকাপরিবেশিত হয় যেখানে কারবালার দৃশ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়।

আশুরা উপলক্ষে ইরানে দুই দিন সরকারি ছুটি থাকে।

আশুরা

ইসলামিক কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন হল ইরানি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যেটি সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিভুক্ত; এবং 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[আরও]

:

:

:

: