রমযান মাস
রমযান মাস: মুসলমানদের জন্য রমযান মাস চান্দ্র বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতময় মাসগুলোর মধ্যে একটি। এটিকে বলা হয় পবিত্র মাস। এ মাসেই কুরআন মজীদ অবতীর্ণ হয়েছে। রমযানে মুসলমানরা পুরো মাস রোযা রাখে। দিনের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা পানি ও খাবার পরিহার করে,মিথ্যা বলা, গীবত করা এবং যে কাজগুলো রোযাকে বাতিল করে দেয় সেগুলো থেকে বিরত থাকে। এই অনুশীলন এবং আত্ম-সংশোধনের মাধ্যমে তারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা জানায় এবং তাদের সংকল্পকে দৃঢ় করার চেষ্টা করে।
এই মাসে যারা রোযা রাখে তারা রাতের শেষ ভাগে ঘুম থেকে উঠে খাবার খায়- যাকে সাহ্রি বলা হয়। সুবহে সাদেকের আগেই তারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং রাত পর্যন্ত তারা রোযা রাখে।
এই মাসে বিভিন্ন ধরনের নামায রয়েছে,যা প্রাত্যহিক নামাযের পরে আলাদাভাবে পড়া হয়। শবে কদরের (ভাগ্যরজনী) নামায হলো এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামায, যা এই মাসের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতগুলোতে পড়া হয়। এই রাতগুলোতে মুসলমানরা জেগে থাকে, পবিত্র কুরআন পাঠ করে এবং এই রাতগুলোর বরকত লাভের জন্য বিভিন্ন প্রার্থনা করে।
ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদাত এই মাসের একটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ৪০ হিজরির রমযান মাসের ১৯ তারিখে কুফার মসজিদে ফজরের নামায আদায়কালে ইবনে মুলজিম নামের এক খারিজি তাঁর মাথায় বিষমাখা তরবারি দিয়ে আঘাত করে। আর এ আঘাতের কারণেই ২১ রমযান ইমাম আলী (আ.) শাহাদাতবরণ করেন। শবে কদরের অন্তর্ভুক্ত এই রাতদুটিতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদুল ফিত্র
এক মাস রোযা রাখার পর মুসলমানরা ঈদুল ফিত্র উদযাপন করে। চান্দ্র বছরের ১০ম মাস শাওয়ালের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিত্র উদযাপন করা হয়। ঈদের জামায়াতে একজন আলেম ইমামতি করেন এবং বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতায় তিনি মানুষকে ধর্মীয় জীবন যাপনের প্রতি আহ্বান জানান। মুসলমানরা একটি নির্ধারিত পরিমাণ শস্য বা তার সমপরিমাণ অর্থ দরিদ্র বা অভাবী লোকদেরকে প্রদান করে।
রমযান মাস | |