মাশহাদ-ই আরদাহালের কার্পেট ধৌতকরণ অনুষ্ঠান
এটিই একমাত্র ইসলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠান যা সৌর (ইরানি) ক্যালেন্ডার অনুসারে সংগঠিত হয়।
কার্পেট ধৌতকরণ অনুষ্ঠানের উৎপত্তি ১১৬ হিজরির ২৭ জমাদিউস সানি (৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে) তারিখে সুলতান আলীর শাহাদাতের সময় থেকে,যাঁকে কাশানের লোকজন ও বাসিন্দারা এই অঞ্চলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে,একদল লোক সুলতান আলী ইবনে ইমাম মোহাম্মদ বাকিরের মাজারের একটি কার্পেট গুটিয়ে কিছু যুবকের কাঁধে রাখে, যারা মাজারের ভিতরে একটি বিলাপ ও শোক অনুষ্ঠান করার পর এটিকে ফিনের লোকদের নিকট পৌঁছে দেয়। ফিনের লোকেরা কার্পেটটিকে একটি ঝরনায় নিয়ে যায় যা এই বিল্ডিং থেকে প্রায় কয়েকশ মিটার পূর্বদিকে অবস্থিত।
এই দলটির পরে অন্য একটি দল আসে যারা প্রত্যেকে একটি লম্বা হাতলওয়ালা লাঠি বহন করে এবং ইমাম হোসাইন (আ.)-এর নাম উচ্চারণ করে তাঁর শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে চাওয়ার চিহ্ন হিসাবে তাদের লাঠিগুলোকে নাড়াতে থাকে। এরপর কার্পেটটি ঝরনার পাশে মাটিতে রাখা হয় এবং ইমামজাদার শরীরকে অযু করিয়ে দেওয়ার রূপক হিসাবে ঝরনার পানি দিয়ে কার্পেটটি পরিশুদ্ধ করা হয়। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাজারের প্রবেশদ্বারে কার্পেট বাহকদের আগমন এবং খাভেহ আরদাহাল গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয় যারা এটি মাজারের ভিতরে নিয়ে যায়।
এই রীতিটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মাশহাদ-ই আরদাহালের কার্পেট ধৌতকরণ অনুষ্ঠান | |