এজেন্সি
মাজিদ মাজিদি

মাজিদ মাজিদি

মাজিদ মাজিদি

প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এবং চিত্রনাট্যকার মাজিদ মাজিদি ১৯৫৯ সালের ১৭ই এপ্রিল ইরানের রাজধানী তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়স থেকে তিনি অপেশাদার নাট্যদলের সাথে কাজ করা শুরু করেন। এরপর তিনি তেহরানের ইনস্টিটিউট অব ড্রামাটিক আর্টস থেকে নাট্যকলার উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন।

১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর চলচ্চিত্রের দিকে আগ্রহী মাজিদ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া মোহসেন মাখ্মলবফের ‘বয়কট’ ।

পরবর্তীকালে মাজিদি চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকে পড়েন। একে একে নির্মাণ করেন বাদুক, পেদার (ফাদার), বাচ্চেহায়ে আসমান (চিলড্রেন অব হেভেন), রাঙ্গে খোদা (দি কালার অব প্যারাডাইস) প্রভৃতি ছবি। তিনি মূলত শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

২০০৪ সাল পর্যন্ত মাজিদ ছিলেন অ্যাকাডেমি পুরস্কার এর জন্য মনোনীত একমাত্র ইরানি চলচ্চিত্রকার । ১৯৯৮ সালে নির্মিত ‘বাচেহায়ে আসমান’ ছবিটির জন্য তিনি সেরা বিদেশী ভাষায় নির্মিত ছবির জন্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার এর মনোনয়ন পান, কিন্তু রবার্তো বেনিনির ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ সে বছর এই পুরস্কারটি পায় ।

মাজিদ মাজিদির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হলো: চিলড্রেন অব হেভেন (১৯৯৮), দ্য কালার অব প্যারাডাইজ (১৯৯৯), মুহাম্মাদ, দ্য ম্যাসেঞ্জার অব গড (২০১৫)।

মাজিদ মাজিদি অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারিও নির্মাণ করেন। যেমন: এনফেযার (এক্সপ্লোশান), রুজ-এ এমতেহান (এক্সামিনেশন ডে), আখেরিন আবাদি (দ্যা লাস্ট ভিলেজ), পিস, লাভ অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ ইত্যাদি।

মাজিদ মাজিদি প্রচুর পুরস্কার এবং সম্মাননা লাভ করেছেন। এখানে সেগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন প্রাপ্তি, ১৯৯৯

Grand Prix of Americas Best Film, ২১তম মনট্রিল চলচ্চিত্র উৎসব, ১৯৯৯

Oecumenical Special Award, ২৫তম মনট্রিল চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০১

Grand Prix Des Ameriques, ২৫তম মনট্রিল চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০১

মাজিদ মাজিদি
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: চিলড্রেন অব হেভেন, দ্য কালার অব প্যারাডাইজ, মুহাম্মাদ, দ্য ম্যাসেঞ্জার অব গড

:

:

:

: