এজেন্সি
আবু নাস্‌র মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ ফারারি

আবু নাস্‌র মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ ফারারি

আবু নাস্‌র মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ ফারারি

৮৭০ খ্রিস্টাব্দে খোরাসানের ফারাব জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আবু নাসর মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ ফারাবি (পশ্চিমে আলফারাবিয়াস নামে পরিচিত) হলেন একজন শ্রেষ্ঠ ইরানি দার্শনিক ও পণ্ডিত,যিনি দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা,গণিতশাস্ত্র ও সংগীতে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। ফারারি বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই অনন্য ছিলেন এবং তিনি তাঁর সময়ের প্রতিটি বিজ্ঞান নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন এবং তাঁর রচনা থেকে এটি স্পষ্ট যে তিনি ভাষা,গণিত, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, সামরিক বিজ্ঞান, সংগীত, পদার্থবিদ্যা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, নাগরিক বিজ্ঞান, আইনশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা এবং বিশ্বকোষ রচনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।।

ফারাবির অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং শেখার শক্তি তাকে শেখানো সমস্ত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম করেছিল। শীঘ্রই তিনি একজন দার্শনিক ও বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দর্শন ও যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁর লেখা বেশিরভাগ কাজই নিওপ্ল্যাটোনিক স্কুলের অন্তর্গত এবং তিনি ইসলামের একেশ্বরবাদী ধর্মতত্ত্বের সাথে প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের চিন্তাধারার সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন। ইসলামি দর্শনের ঐতিহ্যে, ফারাবিকে ‘দ্বিতীয় শিক্ষক’ বলা হয়েছে-অ্যারিস্টটলের পরে,যাঁকে ‘প্রথম শিক্ষক’ বলা হয়। ইসলামি ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে ফারাবি ছিলেন একজন তাপস যিনি প্রচুর সময় ধ্যানে অতিবাহিত করতেন।

ফারারি অনেক বই লিখেছেন, যেমন: ‘দর্শনের আগে কী শেখার দরকার’, ‘শহুরে রাজনীতি’, প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের দৃষ্টিভঙ্গির সংমিশ্রণ’,‘প্রকৃতি ও যুক্তির সারাংশের উপর গ্রন্থ’, ‘মুক্তি অর্জন’, ‘দার্শনিক প্রশ্নসমূহের উত্তর’, ‘অবস্তুগত সত্তার অস্তিত্ব প্রমাণ’, ‘অ্যারিস্টটলের অধিবিদ্যার উপর বই লেখার উদ্দেশ্য’, রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ, ‘দর্শনের রত্ন’, ‘স্বপ্নরাষ্ট্রের উপর অভিমত’,‘রসায়নশাস্ত্রের প্রয়োজনীতা’ ইত্যাদি।

‘আল মদিনা আল ফাজিলা’ বা আদর্শ নগর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। ‘কিতাব আল মুসিকি আল কবির’ বা সংগীতের মহান গ্রন্থ তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ।

ফারাবির বেশ কিছু রচনা ল্যাটিন ভাষায় আভেনাসার,আলফারাবিয়াস, আলফারাবি এবং এল ফারাতি নামে অনূদিত হয়েছে। ফারাবি ৯৫০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান এবং তার সমাধি দামেস্কে রয়েছে।

আবু নাস্‌র মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ ফারারি
‘দর্শনের আগে কী শেখার দরকার’, ‘শহুরে রাজনীতি’, প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের দৃষ্টিভঙ্গির সংমিশ্রণ’,‘প্রকৃতি ও যুক্তির সারাংশের উপর গ্রন্থ’, ‘মুক্তি অর্জন’, ‘দার্শনিক প্রশ্নসমূহের উত্তর’, ‘অবস্তুগত সত্তার অস্তিত্ব প্রমাণ’, ‘অ্যারিস্টটলের অধিবিদ্যার উপর বই লেখার উদ্দেশ্য’, রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ, ‘দর্শনের রত্ন’, ‘স্বপ্নরাষ্ট্রের উপর অভিমত’,‘রসায়নশাস্ত্রের প্রয়োজনীতা’ ইত্যাদি

:

:

:

: