গাজ্জালি
গাজ্জালি ১০৫৮ সালে ইরানের তূস নগরীর তাবারান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু হামিদ মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ আত-তুসি আল-গাজ্জালি। তিনি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, আইনবিদ, যুক্তিশাস্ত্রবিদ ও রহস্যবিদ হিসেবে পরিচিত।
গাজ্জালি অনেক রচনা রেখে গেছেন,যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী হলো ‘তোহাফাতুল ফালসাফা’,যা দার্শনিক, দার্শনগত বিশ্বাস ও পদ্ধতির বিরুদ্ধে লেখা হয়েছিল এবং ‘এহইয়া উলুমিদ্দীন’ (ধর্মের বিজ্ঞানের পুনরুজ্জীবন),যা সুফিবাদ ও নীতিশাস্ত্র নিয়ে লেখা হয়েছিল। তাঁর জীবনের শেষ দিকে, তিনি এই বইটির সারসংক্ষেপ করেছিলেন যা ‘কিমিয়ায়ে সাআদাত’ (সৌভাগ্যের পরশমণি) নামে পরিচিত হয়েছিল।
গ্যাশ, ম্যাকডোনাল্ড, গোল্ডজিহার, লুই ম্যাসাইনন, এসিন প্লাসিসাস, মন্টগোমেরি ওয়াট, মরিস বোগিরে, মিশেল আলার এবং আবদুর রহমান আল-বাদাভির মতো প্রাচ্যবিদ ও পণ্ডিত গাজ্জালির রচনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত তার ‘মুআল্লাফাতুল গাজালি’ বইয়ে আবদুর রহমান বাদাভি গাজ্জালির লেখা ৪৫৭টি বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে ৭২টি নিঃসন্দেহে গাজ্জালির রচনা বলে মনে করা হয়। গাজ্জালির রচনাকে তাঁর জীবনের ৫টি সময়ে ভাগ করা যায়: জ্ঞান অর্জনের বছরগুলোতে লেখা তাঁর কাজ;পাঠ এবং আলোচনার প্রথম সময়কালে লেখা কাজ;তাঁর একাকীত্বের সময় রচিত রচনা;স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর লেখা কাজ এবং পাঠ ও আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব;তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলোতে লেখা রচনাবলি।
গাজ্জালি ১১১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে তাঁর জন্মস্থানেই সমাহিত করা হয়েছে।
গাজ্জালি | |
রচনা: তোহাফাতুল ফালসাফা, এহইয়া উলুমিদ্দীন, কিমিয়ায়ে সাআদাত |