এজেন্সি
কামালউদ্দিন বেহজাদ

কামালউদ্দিন বেহজাদ

কামালউদ্দিন বেহজাদ

কামালউদ্দিন বেহজাত চিত্রশিল্পী মিরাকের অধীনে হেরাত লাইব্রেরিতে তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ করেন এবং চিত্রাঙ্কন ও অঙ্কনে দুর্দান্ত দক্ষতা অর্জন করেন। বেহজাদ পেইন্টিং ও বই অলঙ্করণ করতেন এবং ১৫ শতকের সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান হোসেনের গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিকের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাবরিযে গমন করেন যা তখন সাফাভি সম্রাট শাহ ইসমাইলের রাজধানী ছিল এবং কিছু সময়ের জন্য তিনি রাজকীয় গ্রন্থাগারে কাজ করেন, কিন্তু পরে নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসেন।

বেহজাদের খ্যাতির কারণে অনেক চিত্রশিল্পী শতাব্দীকাল ধরে তাঁর কাজগুলোকে অনুকরণ করতে থাকে এবং তারা যাকিছু অঙ্কন করত সেগুলোর উপর বেহজাদের নাম লিখে রাখত। এর ফলে কামালউদ্দিন বেহজাদের মূল কাজগুলোকে সেগুলো থেকে আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে তাঁর কাজ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, যে ছবিগুলো মূলত তাঁর দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেগুলোই শেখ সাদির ‘বুস্তান’ গ্রন্থের একটি অনুলিপিতে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কায়রো জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত রয়েছে।

কামালউদ্দিন বেহজাদের যে চিত্রকর্মগুলো এখনো বিদ্যমান এবং ইরান ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘খামসেহ মীর আলী শির নাভাই’, ‘খামসেহ আমির খোসরো দেহলভি’, ‘সাদি’র গোলেস্তান’, ‘সুলতান হোসেন বায়কারা, তাঁর হেরেম এবং একটি বাগানে কর্মরত তাঁর লোকদের চিত্রকর্ম’, ‘খামসেহ নেজামি’, ‘জাফরনামেহ শরফুদ্দিন আলী ইয়াজদি’, ‘বার্ধক্য ও তারুণ্যের দৃশ্য’, ‘দুটি উটের রাখালের লড়াই’ ইত্যাদি।

কামালউদ্দিন বেহজাদ ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে হেরাত বা তাবরিযে ইন্তেকাল করেন। তাঁর সমাধিস্থল সম্পর্কে দুটি মত রয়েছে। এক মত অনুযায়ী এটি হেরাতের মোখতার পর্বতে এবং দ্বিতীয় মত অনুসারে তাবরিযের ‘দো কামাল’ সমাধিক্ষেত্রে অবস্থিত।

কামালউদ্দিন বেহজাদ

:

:

:

: