আবু হামিদ বিন আবু বকর ইবরাহিম (ফরিদউদ্দিন আত্তার)
শেখ ফরিদউদ্দিন আত্তার: শেখ ফরিদউদ্দিন আত্তার হিজরি ৫৪০ সালে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন ওষুধ বিক্রেতা। পরে তিনিও ওষুধ বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পেশাগত কারণে চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন।
এই সুফি সাধক ও কবির আসল নাম আবু হামিদ বিন আবু বকর ইবরাহিম। কিন্তু ইরানের নিশাপুরের এই কবি লিখতেন ফরিদউদ্দিন আত্তার নামে। আত্তার মানে ফার্মাসিস্ট। কুফা, মক্কা, দামেস্ক, তুরস্কে ভ্রমণকালে তিনি সুফি শায়খ বা শেখদের সান্নিধ্যে আসেন। ইরান-তুরস্কে তিনি মহত্তম সুফি কবি হিসেবে পরিচিত। তার বই ‘তাজকেরাত-উল-আউলিয়া’ বাংলায় খুব জনপ্রিয় একটি বই, বহু ঘরে বইটি গুরুত্বের সঙ্গে পাঠ করা হয়। ফরিদ উদ্দিন আত্তার অন্তত ৩০টি বই লিখেছেন। তার একটি বিখ্যাত বই হচ্ছে ‘মানতিকে তাইয়ার’ বা ‘পাখির সমাবেশ’। পারস্যের সেরা কবি হিসাবে খ্যাতিমান না হলেও আত্তার ছিলেন অনেকটা কবিদের কবি। তাঁর কবিতা রুমি, হাফিজসহ বহু আধ্যাত্মিক কবির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। হিজরি ৮১১ সালে ইরানের এই বিখ্যাত কবি মোঙ্গলদের হামলায় মারা যান। ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিশাপুরে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
জানা যায়, পাখির সঙ্গে ফরিদউদ্দিন আত্তারের সম্পর্ক ছিলো অত্যন্ত নিবিড়। তার একটি বহুল আলোচিত বই ‘মানতিকে তাইয়ার’ বা ‘কনফারেন্স অব বার্ডস’। এই বইতে আত্তার পাখিদের অভিজ্ঞতার মোড়কে মূলত জীবন, জগত, সৃষ্টিরহস্য এবং বিশেষত আধ্যাত্মিক, মানবিক প্রেম বিষয়ে কথা বলেছেন।
আবু হামিদ বিন আবু বকর ইবরাহিম (ফরিদউদ্দিন আত্তার) | |
ফরিদউদ্দিন আত্তার | |
মানতিকে তাইয়ার, আসরারনামা, মুসিবতনামা, ইলাহিনামা, জাওয়াহিরনামা, শারহুল কাল্ব |