সাঞ্জেশ (পরিমাপ) যাদুঘর, তাবরিয
সাঞ্জেশ (পরিমাপ) যাদুঘর : ভবনটিতে একটি ইটের প্রবেশদ্বার, একটি বারান্দা, একটি করিডোর, একটি জলাধার, বসার জন্য একটি বিস্তৃত স্থান, উত্তর দিকে তিন দরজাবিশিষ্ট একটি বড় বসার ঘর, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে কয়েকটি ছোট-ছোট বসার ঘর, পানি সংরক্ষণের জন্য একটি স্থান এবং একটি উঠান বাগান রয়েছে।
ভবনের মূল অংশটি উঠানের উত্তর পাশে অবস্থিত। পশ্চিম এবং পূর্ব দিকেও বসার ঘর রয়েছে। পশ্চিম দিকের বসার ঘরের পাশের প্রবেশপথে দুটি কলামযুক্ত বারান্দা যুক্ত করা হয়েছে। উত্তর দিকের বসার ঘরের নিচের তলাটি গ্রীষ্মকালে পুল হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ভবনের কক্ষ, কুলুঙ্গির চারপাশ,ছাদ ও ফায়ার প্লেসগুলোতে সোনালি রঙ করা হয়েছে। উত্তরের বসার জায়গার সিলিং ও ভবনের উত্তর দিকের সম্মুখভাগ আয়নার কাজসহ প্লাস্টার দিয়ে সজ্জিত। ভবনের জানালাগুলো দাগযুক্ত রঙিন কাচ দিয়ে সজ্জিত এবং এর তোরণগুলো ঝাড়বাতি আকারে প্লাস্টারওয়ার্ক ও ইট দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। বসার হলের কলামগুলোকে এগুলোর শীর্ষচুড়াসহ প্লাস্টারওয়ার্ক ডিজাইন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
জাদুঘরটিতে বিভিন্ন ধরনের পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে, যেমন : স্বর্ণকারের স্কেল,বড় কার্গো স্কেল, ওজন,তেলের স্কেল,জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্র, যেমন অ্যাস্ট্রোলেব,আবহাওয়া পরিমাপের যন্ত্র,কম্পাস এবং বিগত শতাব্দীসমূহের ঘড়ি ইত্যাদি।
নিওলিথিক ভূতাত্ত্বিক সময়কালের প্লিওসিন যুগের ৫ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি গাছের কাণ্ডও এই জাদুঘরে রাখা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এই কাণ্ডটি জীবাশ্ম এবং সিলিকা পাথরে পরিণত হয়েছে। একইভাবে,জৈব পদার্থ শোষণ করে এই গাছের টিস্যু ও দেয়াল শক্ত হয়ে গেছে এবং এর বাইরের স্তরটি লোহার মরিচার মতো রঙ ধারণ করেছে।
সাঞ্জেশ জাদুঘরে ইরানে ব্যবহৃত প্রথম গ্যাস পাম্পসমূহের নমুনাও রয়েছে,যেগুলো ম্যানুয়াল পাম্প ছিল এবং প্রায় একশ বছর আগে ইংল্যান্ডে তৈরি হয়েছিল। প্রাচীন রোম-সম্রাট সিজার অগাস্টাসের ছবি সম্বলিত একটি ঐতিহাসিক ঘড়ি,যা ১৭ শতকে ফ্রান্সের কানে নির্মিত হয়েছিল সেটিও এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
সাঞ্জেশ (পরিমাপ) যাদুঘর, তাবরিয | |