আবু রায়হান বিরুনি
বিরুনি খাওরাজমি, ফারসি, আরবি ও সংস্কৃতের মতো বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং প্রাচীন গ্রীক, তোরাহ হিব্রু এবং সিরিয়াক ভাষার সাথে পরিচিত ছিলেন এবং হিন্দি থেকে আরবি ভাষায় বেশ কিছু বই অনুবাদ করেছিলেন,যার মধ্যে রয়েছে: ‘সিদ্ধান্ত’,‘আল-মাওয়ালিদ আল-সগীর’ ও ‘কালবিয়ারা’। তিনি ফারসি থেকে আরবিতে গল্পও অনুবাদ করেছেন। এই গল্পগুলোর মধ্যে ‘শাদবেহর’ (কাসিম আল-সারওয়ারের হাদিস), ‘আইন আল-হায়াত’,‘উরমাজদিয়ার ও মাহরিয়ারের গল্প’ এবং ‘সোরখ-বট এবং খাং-বটের গল্প’-এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।
আবু রায়হান বিরুনি বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কিছু গবেষণা করে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর গবেষণামূলক কাজ ও উদ্ভাবনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো: কঠিন পদার্থের ভার পরিমাপের জন্য একটি স্কেল এবং যৌগিক বস্তুর মধ্যে সোনা ও রুপার পরিমাণ নির্ধারণ;হীরা ও পান্নার ভৌত বৈশিষ্ট্য নির্ণয়, শূন্যতার সম্ভাবনা, ভৌগোলিক গোলক তৈরি করা ইত্যাদি। ইরান ও বিশ্বে তাঁর নামে অনেক ভবন,স্কয়ার, স্থাপনা,সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়, ভাস্কর্য ইত্যাদি রয়েছে। ২০০৯ সালের জুন মাসে চাহারতাকের আকারে হাখামানশি ও ইসলামি স্থাপত্য শৈলী এবং সজ্জার সংমিশ্রণে একটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে,যা ভিয়েনায় জাতিসংঘের অফিসের এলাকায় অবস্থিত,সেখানে চারজন ইরানি দার্শনিকের ভাস্কর্য রয়েছে- ওমর খৈয়াম, আবু রায়হান বিরুনি, যাকারিয়া রাযি ও আবু আলী সিনা (আভিসেনা)।
বিরুনি আবু আলি সিনার সমসাময়িক ছিলেন এবং তাঁরা একে অপরের সাথে চিঠিপত্র ও মতবিনিময় করতেন। আবু রায়হান বিরুনি ১০৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের গজনিতে মারা যান।
আবু রায়হান বিরুনি | |