আলি এসফান্দিয়ারি (নিমা ইউশিজ)
‘নিমা ইউশিজ’ নামে সমধিক পরিচিত আলি এসফান্দিয়ারি ছিলেন সমসাময়িক ইরানি কবি এবং আধুনিক ফারসি কবিতার জনক ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইরানের মাজানদারান প্রদেশের ইউশ জেলায় ১৮৯৭ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ‘শের-ই নও’ (কবিতার নতুন শৈলী) একটি শিরোনাম যা নিমা নিজেই তাঁর শিল্পকে দিয়েছিলেন।
নিমা ইউশিজ ফারসি কবিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন পথের সূচনাকারী ছিলেন। তিনি তাঁর কবিতার সাহায্যে ফারসি কবিতার হাজার বছরের পুরনো মান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিলেন,যা অপরিবর্তনীয়,পবিত্র এবং চিরন্তন বলে মনে হয়েছিল। তিনি 23 বছর বয়সে ‘কেসসেয়ে রংপারিদে’ (বিবর্ণ গল্প) শিরোনামে তাঁর প্রথম কবিতা লিখেছিলেন। বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক রচনা,চিঠি ও নোট ছাড়াও নিমার কাজের মধ্যে রয়েছে:
‘মানজোমেয়ে নিমা’ (নিমার কবিতা),‘হেকায়াত ভা খানেভাদেয়ে সারবাজ’ (কাহিনী ও সৈনিকের পরিবার), ‘অ্যাই শাব’ (হে রাত্রি),‘আফসানে ওয়া রুবাইয়াত’ (কিংবদন্তি ও চতুর্পদী), ‘শে’র-ই মান’ (আমার কবিতা), ‘শাহর-ই শাব ওয়া শাহর-ই সোব্হ’ (রাতের শহর এবং সকালের শহর),‘নাকুস-ই কালামন্দাজ’ ( কলমভাঙা ঘণ্টা), ‘ফারইয়াদহায়ে দিগার’ (অন্যান্য চিৎকার),‘আব দার খাবগা-ই মুরচেগান’ (পিঁপড়ার ঘরে জল),‘মারকাযে আকা’ (আকা’র সমাধি), ‘কানদোহায়ে শেকাস্তেহ" (ভাঙা মৌচাক),‘আহৌ ভা পারন্দেহহা’ (হরিণ ও পাখি), ‘হারফহায়ে হামসায়ে’ (প্রতিবেশীর কথাগুলো) এবং ‘নামেহহায়ে আশেকানে’ (প্রেমিকদের পত্রাবলি)।
নিমা মাজান্দারানি উপভাষায় বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেছেন যেগুলো ‘রোযা’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। নিমার কিছু রচনা ইংরেজি ও ফরাসিসহ বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
নিমা ইউশিজ ১৯৬০ সালের ৩ জানুয়ারি মারা যান। তাঁর সমাধিটি সেই বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থিত যেখানে তিনি ইউশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি কাজার আমলের একটি স্থাপনা এবং এটিকে জাতীয় স্মৃতিচিহ্নসমূহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আলি এসফান্দিয়ারি (নিমা ইউশিজ) | |
‘মানজোমেয়ে নিমা’ (নিমার কবিতা),‘হেকায়াত ভা খানেভাদেয়ে সারবাজ’ (কাহিনী ও সৈনিকের পরিবার), ‘অ্যাই শাব’ (হে রাত্রি),‘আফসানে ওয়া রুবাইয়াত’ (কিংবদন্তি ও চতুর্পদী), ‘শে’র-ই মান’ (আমার কবিতা), ‘শাহর-ই শাব ওয়া শাহর-ই সোব্হ’ (রাতের শহর এবং সকালের শহর),‘নাকুস-ই কালামন্দাজ’ ( কলমভাঙা ঘণ্টা), ‘ফারইয়াদহায়ে দিগার’ (অন্যান্য চিৎকার),‘আব দার খাবগা-ই মুরচেগান’ (পিঁপড়ার ঘরে জল),‘মারকাযে আকা’ (আকা’র সমাধি), ‘কানদোহায়ে শেকাস্তেহ" (ভাঙা মৌচাক),‘আহৌ ভা পারন্দেহহা’ (হরিণ ও পাখি), ‘হারফহায়ে হামসায়ে’ (প্রতিবেশীর কথাগুলো) এবং ‘নামেহহায়ে আশেকানে’ (প্রেমিকদের পত্রাবলি)। |