এজেন্সি
আনোয়ারি আবিরুদি

আনোয়ারি আবিরুদি

আনোয়ারি আবিরুদি

ফারসি সাহিত্যের বড় কবি আনওয়ারি আবিরুদির জন্ম হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টিয় ১১২৬ সনে তুর্কিস্তানের আবিরুদ অঞ্চলের বাদানাহ গ্রামে। তিনি ছিলেন সাহিত্যমোদী এক ধনী পরিবারের সন্তান। আবিরুদ অঞ্চলটি ছিল প্রাচীন খোরাসানের নাসা ও  সারাখস শহরের মাঝামাঝি স্থানে। বর্তমানে অঞ্চলটি তুর্কমেনিস্তানের অংশ।

আনওয়ারি পড়াশুনা করেছেন ইরানের তুস শহরের মানসুরিয়া কলেজে। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে দক্ষ আনওয়ারি কবি হিসেবে সুখ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি একজন বড় জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতীষীও ছিলেন। প্রশংসাসূচক কবিতা লেখার সুবাদে সালজুক রাজবংশের শাসনামলে সুলতান সানজারের দরবারি কবি হয়েছিলেন আনওয়ারি। তিনি রাজ-জ্যোতির্বিদের দায়িত্বও পালন করতেন।

আনওয়ারির কবিতাগুলো দিওয়ান নামের এক সংকলনে দেখা যায়। এতে রয়েছে প্রশংসাসূচক নানা ধরনের কবিতা ও ব্যাঙ্গ-কবিতা। ‘খোরাসানের কান্না’ আনওয়ারির একটি বিখ্যাত কাসিদা। তার লেখা চমৎকার শোক-গাথা জাতীয় এই কবিতা ১৭৮৯ সনে ইংরেজিতে অনূদিত হয়। আনওয়ারির কবিতাগুলো খুব সুন্দর হলেও তার অনেক কবিতার অর্থ বোঝা বেশ জটিল। মনে করা হয়, আনওয়ারি ইচ্ছে করেই দুর্বোধ্যতা, অস্পষ্টতা ও জটিলতাকে স্থান দিয়েছিলেন তার অনেক কবিতায়। আর এই ধারণার প্রমাণ হল, তার অনেক প্রাঞ্জল ও সরল কবিতাও রয়েছে।

‘দ্যা ক্যামব্রিজ হিস্টোরি অব ইরান’ শীর্ষক বইয়ে আনওয়ারিকে ফারসি সাহিত্যের অন্যতম বড় দিকপাল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আরবি সাহিত্য, সঙ্গীত, যুক্তিবিদ্যা, চিকিৎসা শাস্ত্র ও জ্যামিতি শাস্ত্রের ওপর ভালো দখল ছিল আনোয়ারির। ইবনে সিনার দর্শন বিষয়ক বই ইশারাত-এর ওপর একটি ব্যাখ্যামূলক বই লিখেছিলেন আনওয়ারি। বইটির নাম ‘আলবাশারাত ফি শারহিল ইশারাত’।  ছন্দ ও কাব্যতত্ত্ব সম্পর্কেও আনওয়ারির একটি পুস্তিকা রয়েছে। তিনি ইবনে সিনার দর্শন বিষয়ক বই ‘উয়ুন আল হিকমার’ও পুনলির্খন করেছিলেন।

আনওয়ারি মারা যান আনুমানিক খ্রিস্টিয় ১১৮৯ সন থেকে ১২০০ সালের মধ্যে খোরাসানের বালখে যা বর্তমানে আফগানিস্তানের অংশ।

আনোয়ারি আবিরুদি
দিওয়ান, ‘আলবাশারাত ফি শারহিল ইশারাত’,

:

:

:

: