দারিয়ুসের প্রাসাদ (অপাদানা), শুশ (সুসা)
পাথর,দেবদারু কাঠ ও মাটির ইট দিয়ে তৈরি এই স্থাপনার অপর নামগুলো হলো দারিয়ুসের প্রাসাদ এবং সুসার প্রাসাদ। এই প্রাসাদের দেয়ালগুলো ইট দিয়ে তৈরি এবং এর স্তম্ভগুলো পাথরের তৈরি। এর অভ্যন্তরীণ দেয়ালগুলো চকচকে ইট দিয়ে আবৃত ছিল এবং অমর প্রহরীদের নকশা, একটি ডানাওয়ালা সিংহ এবং একটি পদ্ম ফুলের ছবি দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছিল।
১০০ হেক্টর জুড়ে ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) উচ্চতায় কৃত্রিমভাবে উত্থিত একটি প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত এই প্রাসাদটিতে রয়েছে একটি আবাসিক প্রাসাদ,একটি অপাদানা (শ্রোতা হল),একটি হারেম,একটি ভোজকক্ষ,স্মৃতিস্তম্ভের গেট, ১১০টিরও বেশি কক্ষ, ছয়টি উঠান (তিনটি কেন্দ্রীয় উঠান),যা লাল রঙের ইট দিয়ে আবৃত।
আরদেশিরের (৪৬১ খ্রিস্টপূর্ব) শাসনামলে এই প্রাসাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আগুনে ধ্বংস হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় আরদেশিরের (৩৫৯ খ্রিস্টপূর্ব) সময় এটি আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়। অন্যান্য হাখামানশি প্রাসাদের মতো এই প্রাসাদটিও আলেকজান্ডারের ইরান আক্রমণের সময় প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং এই গুরুত্বপূর্ণ কমপ্লেক্সের খুব কম অংশই অবশিষ্ট ছিল। বর্তমানে প্রাসাদের কিছু ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে স্তম্ভসমূহ, স্তম্ভসমূহের সবচেয়ে উপরের অংশসমূহ (ক্যাপিটাল), ডানাওয়ালা সিংহ,সোনা ও ফিরোজা পাথরের একটি নেকলেস ও ব্রেসলেট,কিছু মৃৎপাত্র, চকচকে পাত্রসমূহ ইত্যাদি,যার সবকটি ইরানে ও ইরানের বাইরের জাদুঘরগুলোতে সংরক্ষিত আছে,যেমন : প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘর। এই কমপ্লেক্সটিকে ২০১৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দারিয়ুসের প্রাসাদ (অপাদানা), শুশ (সুসা) | |