এজেন্সি
আহারের জামে মসজিদ, পূর্ব আজারবাইজান

আহারের জামে মসজিদ, পূর্ব আজারবাইজান

আহারের জামে মসজিদ, পূর্ব আজারবাইজান

স্থাপত্যশৈলী ও সাজসজ্জার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আহারের জামে মসজিদে একটি উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ এবং বড় বড় কলাম ও ঐতিহাসিক শিলালিপিসহ একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস রয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ডের বৃহৎ স্থান,যার উচ্চতা কম,সেটিকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং এটি মাঝখানে ১৪টি এবং পাশে ১৪টি আধা-স্তম্ভমূলের উপর ২১টি গম্বুজ ও ইটের খিলান দ্বারা আবৃত। কলাম এবং দেয়ালের সমস্ত পৃষ্ঠ প্লাস্টার করা হয়েছে এবং দেয়ালের গোড়ার কিছু অংশে সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। মসজিদের আঙ্গিনায় বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে এবং প্রাঙ্গণের মাঝখানে একটি পুল রয়েছে। মসজিদের প্রবেশপথের উপরে স্থাপিত শিলালিপিতে ভবনের তারিখ এবং এর নির্মাতার নাম উল্লেখ রয়েছে। মসজিদের বিভিন্ন অংশে স্থাপিত অন্যান্য শিলালিপিতে ভবনটির মেরামতের সময়কাল দেখানো হয়েছে। এই মসজিদটি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি অংশ নিয়ে গঠিত,যেগুলোকে একটি ছোট দরজা দিয়ে আলাদা করা হয়েছে।

আহারের জামে মসজিদ অতীতে শহরের নামাজের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হত,তবে এর ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য এখন মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

শেখ শাহাবুদ্দীন আহারির সমাধি

আহার শহরে মহান ইরানি রহস্যবাদী শেখ শাহাবুদ্দীন আহারির (১১৮০-১২৬৫ খ্রি.)সমাধিও রয়েছে;যার নির্মাণ সাফাভিদের যুগের প্রথম দিকের। এই সমাধিভবন,যাতে শেখ শাহাবুদ্দীনের আশ্রমও ছিল, তাতে প্রধান ভবন,একটি বড় মসজিদ,একটি বড় বারান্দা,দুটি ছোট বারান্দা,দুটি উচ্চ মিনার এবং বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে এবং কয়েক বছর ধরে এটি একটি জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।

আহারের জামে মসজিদ, পূর্ব আজারবাইজান

ইসলামিক কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন হল ইরানি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যেটি সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিভুক্ত; এবং 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[আরও]

:

:

:

: