এজেন্সি
গোম্বাদ-ই কাবুদ (ফিরোজা গম্বুজ), পূর্ব আজারবাইজান

গোম্বাদ-ই কাবুদ (ফিরোজা গম্বুজ), পূর্ব আজারবাইজান

গোম্বাদ-ই কাবুদ (ফিরোজা গম্বুজ), পূর্ব আজারবাইজান

গোম্বাদ-ই কাবুদ বা মারাগেহর ফিরোজা গম্বুজ সেলজুক যুগে ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছে। কিছুসংখ্যক ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন যে, এটি মঙ্গোলদের সময়ে নির্মিত হয়েছিল,আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, এটি হালাকু খানের সময়কালে নির্মিত।

‘হালাকু গম্বুজ’ নামে পরিচিত এই গম্বুজটিতে রয়েছে 10টি পার্শ্ব এবং প্রতিটি পার্শ্ব ছয় মিটারেরও বেশি চওড়া এবং দশ মিটার উঁচু- যার সবকটিই লাল ইট,ফিরোজা রঙের টাইলস এবং সাদা পাথর দিয়ে তৈরি। এতে একটি মোচাকৃতির গম্বুজ ছিল যা কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই গম্বুজটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত-সমাধিকক্ষ ও প্রধান কক্ষ। এই টাওয়ারের পার্শ্বগুলোতে খিলান, রেখারেখা এবং খাঁজ কাটা রয়েছে। এতে স্তম্ভের মতো ভিত্তিও রয়েছে।

গম্বুজের বাহ্যিক অংশের অলঙ্করণ করা হয়েছে মোকারনা (এক ধরনের ইসলামি স্থাপত্য) আকারে সরলরৈখিকভাবে ও জ্যামিতিক ছকে। সরল মোকারনার আকারে তিনটি সারিতে খুব সূক্ষ্ম টাইলের টুকরোগুলো ইটপাথরের সারির মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

সমাধিকক্ষের ভেতরে একটি প্লাস্টার শিলালিপি ও এক খণ্ড পাথর রয়েছে,যা মূল স্থাপনার অন্তর্ভুক্ত। সমাধিকক্ষের দেয়ালগুলো কুফিক লিপির বিভিন্ন রূপে এবং ফিরোজা রঙে পেইন্টিং সহ ‘আল্লাহ’,‘ওয়ালহামদ’ ইত্যাদি শব্দ দিয়ে সজ্জিত।

বৃত্তাকার টাওয়ারের পাশে অবস্থিত এই গম্বুজটি সম্পর্কে অনেক গল্প এবং কিংবদন্তি রয়েছে।

গোম্বাদ-ই কাবুদ (ফিরোজা গম্বুজ), পূর্ব আজারবাইজান
সেলজুক যুগ

:

:

:

: