পবিত্র কোরআন জাতীয় জাদুঘর
পবিত্র কোরআন জাতীয় জাদুঘর
ইমাম খোমেইনি স্ট্রিট এবং ওয়ালিয়াসর স্ট্রিটের সংযোগস্থলের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত পবিত্র কুরআনের জাতীয় জাদুঘর হলো ইরানের একমাত্র জাদুঘর যা কুরআনিক শিল্পের জন্য নিবেদিত।
এই জাদুঘরটি ১০০০০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে একটি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যা তিনটি প্রধান শাখায় বিভক্ত- জাদুঘর,প্রশাসন এবং বিশেষ গ্রন্থাগার।
সমস্ত নির্মাণ মাটির নিচে ১৪ মিটার গভীরতায় স্থাপন করা হয়েছে। হিজরি চতুর্থ শতাব্দী থেকে কাজার যুগের শেষভাগ পর্যন্ত একটি বিশাল সময়ের সাথে সম্পর্কিত কুরআনের পাণ্ডুলিপি ছাড়াও এই জাদুঘরটি কুরআন লেখার অন্যান্য শিল্পের বিকাশের প্রক্রিয়াও বর্ণনা করছে যার মধ্যে রয়েছে গিল্ডিং, বই বাঁধাই, ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি।
জদুঘরের প্রদর্শনী তিনটি অংশে বিভক্ত: ১. সাংস্কৃতিক-ঐতিহাসিক বিভাগ; ২. কুরআনি বিষয়বস্তু বিভাগ; এবং ৩. সমসাময়িক শিল্পকর্ম বিভাগ। জাদুঘরের প্রথম শাখা অর্থাৎ জাদুঘর অংশে পাণ্ডুলিপি এবং লিথোগ্রাফিক কুরআনের সংগ্রহ,কবিদের বই,পার্চমেন্ট, দোয়ার বই এবং কুরআন প্রদর্শন করা হয়।
মীর আলী হেরাভি, মোহাম্মদ ইবরাহিম কওমি, আবদুল কাদের হোসেইনি এবং ওম-ই সালামের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্মও এখানে রয়েছে। দ্বিতীয় অংশে জিনিসপত্র, ফুলদানি,বাক্স,পেন্সিলের কেস এবং মুদ্রার মতো জিনিস রয়েছে যেগুলোতে কোনো না কোনোভাবে কুরআনের আয়াত বা দোয়া লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
তৃতীয় অংশটি সমসাময়িক শিল্পীদের বিশেষত চিত্রশিল্পী এবং ক্যালিগ্রাফারদের শিল্পকর্মের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে যাদের চিত্রকর্ম,ক্যালিগ্রাফি ও ক্যালিগ্রাম জাদুঘরে রাখা হয়েছে। বর্তমানে জাদুঘরে কোরআন মজীদের 650টি স্বীকৃত শিল্পকর্ম রয়েছে।
বস্তুসামগ্রীর পাশাপাশি জাদুঘরের অভ্যন্তরীণ স্থাপত্য এবং এর সাজসজ্জাকেও উপেক্ষা করা যায় না;এটি ইরানি-ইসলামিক স্থাপত্য শৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত যেখানে জাদুঘরের তিনটি তলার প্রতিটিতে সূর্যের মোটিফের একটি অংশ চিত্রিত করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন জাতীয় জাদুঘর | |