গারমসারে ইরানি জাতিগোষ্ঠীর জাদুঘর, সেমনান
পাঁচটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ইরানি জাতিগোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে গারমসার শহরটিকে ‘উপজাতির দ্বীপ’ বলা হয়। এই কারণে গারমসার জাদুঘরের বিষয়বস্তুর পরিকল্পনা করা হয়েছে নৃতত্ত্ব এবং জাতিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে।
পাহলভি যুগের সূচনার দিকে ১৯২১ সালে শহরের একজন হিতৈষী ব্যক্তি মির্জা আলী বাঘেরি জাতিগত গোষ্ঠীর জাদুঘরটি (বাঘেরি ভবন) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অতীতে জাদুঘরের প্রধান অংশটি কাজার আমলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার জন্য নির্মিত বাড়ির মতো একটি বাগান ও একটি বাড়ির আকারে ছিল।
ঐতিহাসিক বাঘেরি হাউস ১৯৯৯ সালে জাতীয় স্মৃতিচিহ্নের তালিকায় স্থান পায়। ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এটি জাতিগত বৈচিত্র্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে জাতিসত্তার জাদুঘর (নৃতত্ত্ব) হিসাবে উদ্বোধন করা হয়।
গারমসারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল জাতিগোষ্ঠীগুলো হলো তুর্কিভাষী, লোর, কুর্দি, আরব এবং এলিকাই উপজাতি। আরাদান ও গারমসার গ্রামের জনসংখ্যার অধিকাংশই এলিকাই যাযাবর উপজাতির বিভিন্ন গোষ্ঠী।
গারমসারে ইরানি জাতিগোষ্ঠীর জাদুঘর, সেমনান | |