ইরানের জাতীয় জাদুঘর
ইরানের জাতীয় জাদুঘর
ইরানের বৃহত্তম,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাচীনতম জাদুঘর হিসাবে ইরানের জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে প্যালিওলিথিক যুগ থেকে ইসলামি যুগ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক খনন থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনাদি যা ‘প্রাচীন ইরান’ এবং ‘ ইরানের প্রত্নতত্ত্ব ও ইসলামি শিল্পকলা’ নামে দুটি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়। ইরানের জাতীয় জাদুঘরটি 1316 সালে দেশটির জাদুঘরগুলোর জন্য নির্মিত প্রথম ভবনে খোলা হয়েছিল। ভবনটি কাসরা খিলান দ্বারা অনুপ্রাণিত একজন ফরাসি স্থপতি আন্দ্রে গোদার্দ এবং দুইজন ইরানি স্থপতি আব্বাস আলী মেমার এবং অধ্যাপক মোরাদ তাবরিজি দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। ‘প্রাচীন ইরান জাদুঘর’ দুটি জাদুঘর নিয়ে গঠিত- ‘প্রাগৈতিহাসিক ইরান’ যা প্যালিওলিথিক সময়কাল থেকে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের শেষ পর্যন্ত (অর্থাৎ লেখার উদ্ভাবনের প্রাথমিক সময় থেকে) এবং ‘ঐতিহাসিক সময়কালের জাদুঘর’ যা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের পরবর্তী সময় থেকে (অর্থাৎ লেখার ব্যবহার শুরুর সময়কালের) সাসানি যুগের শেষ অবধি বিভিন্ন কর্ম প্রদর্শিত হয়েছে।
ইরানের প্রত্নতত্ত্ব এবং ইসলামিক শিল্পের জাদুঘরটি বিশাপুরের সাসানি প্রাসাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি নকশার ভিত্তিতে একটি অষ্টভুজাকৃতিতে প্রায় ৪০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এবং তিনতলাবিশিষ্ট করে নির্মিত হয়েছে। এই ভবনটি ইরানের প্রত্নতত্ত্ব এবং ইসলামিক শিল্পের জাদুঘর প্রতিষ্ঠার জন্য সজ্জিত করা হয়েছে এবং 1996 সালে এর উদ্বোধন করা হয়।
এই ভবনের নিচতলা মিটিং হল এবং অস্থায়ী প্রদর্শনী হলের জন্য ব্যবহার করা হয়। ইরানের প্রত্নতত্ত্ব ও ইসলামি শিল্প জাদুঘরের নিদর্শনগুলো ঐতিহাসিক সময়সূচি অনুসারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সাজানো হয়েছে। পরিদর্শন শুরু হয় তৃতীয় তলা থেকে এবং দ্বিতীয় তলায় এসে শেষ হয়। বর্তমান জাদুঘরটি দুটি তলায় 6টি হল নিয়ে গঠিত: তৃতীয় তলায় প্রাথমিক ইসলাম,সেলজুক ও ইলখানিদের হল এবং দ্বিতীয় তলায় কুরআন,তিমুরি, সাফাভি, আফশার,যান্দ এবং কাজার হল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই জাদুঘরের বেশিরভাগ বস্তুই হলো বৈজ্ঞানিক খনন থেকে প্রাপ্ত বা অস্তান শেখ সফিউদ্দিন আরদাবিলির মতো মর্যাদাপূর্ণ সংগ্রহশালা থেকে বাছাইকৃত নিদর্শন।
ইরানের জাতীয় জাদুঘর | |