এজেন্সি
প্রেমের গল্প বলা রহস্যজ্ঞানী কবি নিযামী

প্রেমের গল্প বলা রহস্যজ্ঞানী কবি নিযামী

প্রেমের গল্প বলা রহস্যজ্ঞানী কবি নিযামী

ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী

শেখ সাদী, হাফেয শিরাযী, মওলানা রূমী, মওলানা আব্দুর রহমান জামী, হাকিম আবুল কাসেম ফেরদৌসী প্রমুখের সাথে অপর যে ফারসি কবি বিশ্বজয় করেছেন, তিনি হলেন প্রেমের গল্প বলা রহস্যজ্ঞানী কবি নিযামী। হিজরি ষষ্ঠ শতকে ফারসি ভাষার অসাধারণ কবি হিসেবে তিনি গণমানুষের বুলি, কথ্য ভাষা ও গল্পধারাকে কবিতায় রূপায়িত করে প্রেমের সৌধমালা রচনা করেন। ফারসি ভাষা ও কবিতাকে বিশ্ব দরবারে অমরত্ব দানে যেসব কবির অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁদের আসরে নিযামীর আসন সোনায় মোড়ানো অলঙ্কৃত। দুঃখজনক হলেও সত্য, মহাকবি হাফিযের মতো নিযামীর জীবন প্রণালী সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার সুযোগ একেবারে সীমিত। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে যেটুকু জানা যায় তার সূত্র তাঁর সাহিত্যকর্ম। তাঁর কবিতা বিশ্লেষণ করে গবেষকগণ তাঁর একটি জীবনচিত্র উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।

শৈশব
কবি নিযামীর পুরো নাম জামাল উদ্দীন আবু মুহাম্মদ ইলিয়াস ইবনে ইউসুফ ইবনে যাকি। আনুমানিক ৫৩৭ হিজরি/ ১১৪১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম এবং ৬০৮ হিজরি/১২০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্তিকাল করেন। তাঁর পিতার নাম ইউসুফ। পরপর একেক স্ত্রীর ইন্তিকালে তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা জানা যায় তিনজন। তাঁর একমাত্র সন্তানের নাম মুহাম্মদ।

নিজামীর জন্মস্থান ‘গাঞ্জে’। এটি বর্তমানে আযারবাইজান প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত। তাঁর পিতৃপুরুষ তাফাররুশ এর অধিবাসী ছিলেন বলে অনুমান করা হয়। তাঁর মায়ের নাম রাঈসা এবং তিনি কুর্দি বংশোদ্ভূত। নিযামী অল্প বয়সে এতিম হয়ে যান। তখন থেকে তাঁর মামা ‘খাজা উমর’ তাঁকে লালন পালন ও শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে বড় করেন।

দাম্পত্য জীবন

নিযামী তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। প্রথম স্ত্রীর নাম আফাক। দারবান্দ এর শাসক বাহরাম শাহ এই ক্রীতদাসী বালিকাকে নিযামীর জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে বিবাহ বন্ধনে নিয়ে নেন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয়তমা এই স্ত্রীর ঘরেই একমাত্র সন্তান মুহাম্মাদ জন্মলাভ করে। নিযামী যখন তাঁর ‘খসরু শিরীন’ কাব্য রচনা সমাপ্ত করেন তখন আফাক তাঁর কাছ থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেন। সে সময় মুহাম্মাদের বয়স সাত বছরের বেশি ছিল না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, নিযামীর আরো দু’জন স্ত্রী যৌবনকালেই মৃত্যুবরণ করেন। আর উভয়ের মৃত্যু হয় তাঁর একটি করে কাব্য রচনা সমাপ্ত হওয়ার পরে।

শিক্ষাদীক্ষা
নিযামী প্রাচীনকালের অধিকাংশ জ্ঞানী-মনীষীর মতোই প্রচলিত বৃদ্ধিবৃত্তিক ও পুঁথিগত জ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। সাহিত্য ও আরবি ভাষা বিষয়ক জ্ঞানে ব্যুৎপত্তি, আধ্যাত্মিকতা, চিন্তা-দর্শন, চরিত্রবিজ্ঞান, কোরআন, হাদিস, ফিকাহ্ ও ইতিহাসশাস্ত্রে যুগের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানীদের প্রথম কাতারে ছিলেন এবং মানবসভ্যতায় যাঁরা যুগে যুগে অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে শামিল হয়েছেন। আধ্যাত্মিক জ্ঞান ছাড়াও গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর পারদর্শিতা তাঁর কবিতার মধ্যে পরিস্ফুট হয়ে আছে। যার ফলে তিনি হাকীম নিযামী বা তত্ত্বজ্ঞানী কবি নিযামী হিসেবেও সমধিক পরিচিত। নিযামীর জীবনকাল ছিল আযারবাইজান ও মূসেল এ আতাবাক বংশীয় শাসকদের এবং শিরওয়ান শাহদের সমসাময়িক। আধ্যাত্মিকতার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ কবি নিযামীকে নির্জনতা অবলম্বন এবং জাগতিক ভোগ-বিলাসের প্রতি উদাসীন করেছিল বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে তিনি রাজা-বাদশাহদের দরবার ও আনুকূল্য গ্রহণ থেকে দূরে থাকতেন।

রচনাবলি
নিযামীর সবচেয়ে বড় কাব্যকীর্তি ‘খামসায়ে নিযামী’, যা পাঞ্জগাঞ্জে নিযামী বলেও পরিচিত। আরবিতে খামসা অর্থ পাঁচ আর ফারসিতে বলা হয় পাঞ্জ। গাঞ্জ এর অর্থ ধনভাণ্ডার। একে পাঁচ ধনভাণ্ডার হিসেবে আমরা বাংলায় অনুবাদ করতে পারি। উল্লেখ্য যে, বাংলা পাঁচ শব্দটি এসেছে ফারসি পাঞ্জ থেকে। নানা উপাখ্যান নিয়ে গীতি কবিতার এই বিশাল ভাণ্ডারে বয়েতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এই অনন্য সৃষ্টিই নিযামীকে বিশ্বসাহিত্যে অমর করে রেখেছে। ‘খামসা’ রচনার জন্য নিযামী তাঁর জীবনের ত্রিশটি বছর অতিবাহিত করেন। ‘খামসা’র অন্তর্ভুক্ত পাঁচ কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে :

১. মাখযানুল আসরার (রহস্যসমূহের ভাণ্ডার)

এটি ফারসি ভাষায় শিক্ষামূলক সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নমুনা। এতে রয়েছে আনুমানিক ২২৬০ বয়েত বা দ্বিপদী শ্লোক এবং তা ২০টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। এর মূল বিষয়বস্তু চরিত্র, উপদেশ ও হিকমত বা তত্ত্বজ্ঞান। ৫৭০ হিজরিতে তাঁর বয়স যখন চল্লিশের কোটায় তখন আধ্যাত্মিক ভাবধারার এই কাব্যগ্রন্থটির রচনা তিনি সমাপ্ত করেন। গ্রন্থটি তিনি ফখরুদ্দীন বাহর শাহ দাউদ (মৃত ৬২২) এর নামে উৎসর্গ করেন।

২. খসরু ও শিরীন

আর্মেনিয়ার রাজকুমারী শিরীন শাহদুখতের প্রতি সাসানি বাদশাহ খসরু পারভেজের প্রেমের আলেখ্য নিয়ে রচিত। ৫৭৬ হিজরিতে গ্রন্থটির রচনা সমাপ্ত করেন এবং তা আতাবক শামসুদ্দীন মুহাম্মদ জাহান পাহলোয়ান ইবনে ইল্দ্গেয (৫৬৭-৫৮১ হিজরি) এর নামে উৎসর্গ করেন। এই কাব্যগ্রন্থের বয়েত বা দ্বিপদী শ্লোকের সংখ্যা ৬৫০০।
৩. লাইলী ও মজনূন

নিযামীর আগেও ফারসি কবিতা ও সাহিত্যে লাইলী মজনুন এর চর্চা ছিল। কিন্তু নিযামীই প্রথমবারের মতো লাইলী ও মজনুন এর প্রেমকাহিনীকে একটিমাত্র কাব্যগ্রন্থে গ্রন্থিত করেন, যার কলেবর ৪৫০০ বয়েত। এই কাব্যগ্রন্থ কবি নিযামী শেরওয়ানশাহ আবুল মুজাফফর আখেস্তান এর নামে রচনা করেন।

আরবের জাহেলি যুগে সাদ এর মেয়ে লাইলীর সাথে আমেরী গোত্রের কায়স আমেরী বা মজনুন এর মর্মস্পর্শী বেদনাময় প্রেমের আলেখ্য নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থটি রচিত। তিনি মাত্র চার মাসে এই কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন। এই কাব্যগ্রন্থের ছন্দরীতি অভিনব। এ কারণে নিযামীর পরে বহু ফারসি কবি তাঁর অনুকরণে প্রেমকাব্য রচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। অনেকে লাইলী ও মজনুন এর প্রেমকাহিনী গিয়ে নিযামীর গ্রন্থে বহু সংযোজন করেছেন কিংবা সেখান থেকে উপাদান নিয়ে নিজের মতো করে কাব্যকীর্তি নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। নিযামীর লাইলী ও মজনুন রচনা সমাপ্ত হয় ৫৮৪ হিজরিতে।

৪. হাফ্ত পায়কর

এটি মূলত বাহরাম গুরের রূপকথার ইতিকথা। এই গ্রন্থ ‘বাহরামনামা’ ও ‘হাফ্ত গোম্বাদ’ নামেও খ্যাত। কবি এটি মারাগে এর বাদশাহ আলাউদ্দীন কারাপ আরসালানের নামে ৫৯৩ হিজরিতে উৎসর্গ করেন। এই কাহিনীকাব্যের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাসানি যুগ সম্পর্কিত সাতটি ইরানি গল্প। তাতে হাফ্ত একলিম এর বাদশাহদের সাত কুমারীর সাথে বাহরামগূর (৩৪৮-৪২০) এর সম্পর্কের ইতিকথা বিবৃত হয়েছে। বাহরাম তাঁদের প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিশেষ রঙের গম্বুজ নির্মাণ করেন এবং সপ্তাহের প্রত্যেকদিন একেক জনের মেহমান হন। এভাবে প্রত্যেককে নিয়ে একেক গল্পের অবতারণা হয়।

৫. ইস্কান্দারনামা

এটি ‘কারাপনামা’ ও ‘ইকবালনামা’ নামে দুই খণ্ডে বিভক্ত। ৬০০ হিজরির দিকে এই কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। এতে বয়েতের সংখ্যা দশ হাজার পাঁচ শত।

‘খামসা’র অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি গ্রন্থ কাব্যকলা, অলংকারশাস্ত্র ও মিষ্ট ভাষায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় দেদীপ্যমান। এর মধ্যে ‘মাখজানুল আসরার’ হচ্ছে রচনার দিক থেকে সবচেয়ে পুরনো আর রচনাশৈলির বিচারে সর্বোত্তম হলো খসরু ও শিরীন। এর বাইরে আছে ‘দীওয়ান’ বা কাব্যগ্রন্থ। ‘দীওয়ান’ এ রয়েছে কাসিদা, গজল, কিতআ ও রূবাইয়্যাত ধরনের কবিতার সমষ্টি।
ফারসি মরমি কবিতার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, অনেক কবি প্রথমে শ্রোতা বা পাঠকমনকে দুনিয়ার প্রেম, প্রেয়সী, কোঁকড়ানো চুল, বেণির সুগন্ধ, কপোলের তিল, থুতনির কূপ, চোখের ভ্রুর মায়াজাল, বাঁকা চোখের চাহনির জাদু প্রভৃতির জন্য পাগল করেন, তারপর জাগতিক প্রেম বা দেহসর্বস্বতার অসারতা প্রমাণ করে পরম বন্ধু আল্লাহর সন্নিধানে নিয়ে যান। নিযামীর প্রেমকাব্যও এর ব্যতিক্রম নয়।

নিযামীর ‘মাখজানুল আসরার’ এর সূচনার কবিতাটিতে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর একত্ববাদের কথা। তার কয়েকটি ছত্র নিম্নরুপ।

ای همه هستی زتو پیدا شده
خاک ضعیف از تو توانا شده
ওহে গোটা সৃষ্টি পয়দা হয়েছে তোমার থেকে
দুর্বল মাটি শক্তিমান হয়েছে তোমার পরশে।
زیر نشین علمت کائنات
ما به تو قائم چو تو قائم به ذات
সৃষ্টিরাজি সবকিছু তোমার জ্ঞানের নখদর্পণে
আমরা স্থিত তোমাতে, তুমি স্থিত তোমার সত্তায়।
هستی تو صورت و پیوند نه
تو به کس و کس به تو مانند نه
তোমার অস্তিত্বের অবয়ব নাই, যোগ বিয়োগহীন
তুমি নও কারো আর তোমার নয় কেউ সদৃশ।

آنچه تغیر نپذیرد توئی
آنچه نمرده است و نمیرد توئی
যার পরিবর্তন নাই সেই সত্তা তুমিই
যা মরে নি ও মরবে না সে তুমিই।
ما همه فانی و بقابس تر است
ملک تعالی و تقدس تر است
আমরা সবাই ক্ষণিকের স্থায়িত্ব কেবল তোমার
সমুন্নত অক্ষয় পবিত্র পরম সত্তা তোমারই।


নিযামীর কবিতার বৈশিষ্ট্য

দৃশ্যপটের রূপকল্প অঙ্কণ আর মজলিসের জৌলুস সাজানোর কথাশিল্পে নিযামী ফারসি সাহিত্যের অনন্য কবি। আনন্দঘন মুহূর্তের মধুর চিত্রায়নে তাঁর সমকক্ষ দ্বিতীয়জন নেই। তাঁর ভাষা মধুর, শব্দমালা নরম নাজুক চিত্তাকর্ষক। বাচনভঙ্গি হৃদয়গ্রাহী। গবেষকরা বলেছেন, তিনি কোনো বীরত্বগাথা রচনা করতে গিয়েও রসের অবতারণা করে বসেন। এককথায় ফারসি গীতিকবিতা ও গল্প রচনায় নিযামী অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তাঁর উপমা উৎপ্রেক্ষাগুলো মনোজ্ঞ, শৈল্পিক ও রূপকল্পে আকীর্ণ। নিসর্গের আবহ ও সরেজমিন চিত্রায়নে তাঁর পারঙ্গমতা ঈর্ষণীয়। তবে জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় বা আরবি ভাষা ও সাহিত্যের বর্ণনায় গিয়ে তাঁর ভাষা অনেক গভীর। কারো কারো কাছে জটিল ও কঠিন বলেও প্রতীয়মান হতে পারে।
নিযামী তাঁর আগেকার মহাকবি ফেরদৌসীর নামোল্লেখ করেছেন তাঁর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থে। ‘শাহনামা’র কয়েকটি গল্পও নিযামীর কবিতায় পাওয়া যায়। ফেরদৌসীর ‘শাহনামা’র সাথে কোনো কোনো কবিতায় নিযামীর কবিতার চমৎকার মিল রয়েছে। যেমন-


دو گوهر بود در یک انگشتری
چنان دان که شاهی و پیغمبری
দুই রত্ন ছিল একটি আংটির ওপর
এমন জান যে, এক বাদশাহ ও এক পয়গাম্বর।
-ফেরদৌসী
چو دو نگین است در انگشتری
نزد خرد شاهی و پیغمبری
দুটি পাথরের মতো শোভিত এক আংটির ওপর
জ্ঞানীর দৃষ্টিতে এক বাদশাহ ও এক পয়গাম্বর।
-নিযামী
ندانم چه ای هرچه هستی تویی
جهان را بلندی و پستی تویی
জানি না তুমি কী? যাকিছু হও তুমিই
জগতের উচ্চতা ও নিচুতা সব তুমিই।
-ফেরদৌস
پناه بلندی و پستی تویی
همه نیستند آنچه هستی تویی
উচ্চতা ও নিচুতার আশ্রয় তুমিই
সবাই অস্তিত্বহীন যাকিছু আছ, তুমিই।
-নিযামী

নিযামীর কাব্যশৈলীর কারণে তাঁর পরের অনেক শ্রেষ্ঠ কবি তাঁর অনুকরণে প্রেমকাব্য রচনার প্রয়াস পেয়েছেন। যেসব শক্তিমান কবি তাঁর অনুকীর্তিতে কাব্য রচনা করেছেন আবদুর রহমান জামী ও আমীর খসরু দেহলবী তাঁদের অন্যতম। উভয়ের রচিত ‘লাইলী ও মজনুন’ কাব্যগ্রন্থ বিশ্বসাহিত্যের অনবদ্য অলঙ্কার। বাংলা পুঁথিসাহিত্যে দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত ‘লায়লী মজনুন’ কাব্য মূলত কবি নিজামী বা কবি মওলানা আবদুর রহমান জামীর ‘লাইলী ও মজনুন’ নামক কাব্যের ভাবানুবাদ।

ইন্তিকাল
নিযামী নিজের নিবাস গাঞ্জের বাইরে কোথাও সফর করেন নি। শুধু বাদশাহ কাযাল আরসালান (৫৮১-৫৮৭) এর আমন্ত্রণে গাঞ্জের অন্তর্গত একটি এলাকায় একবার মাত্র সফর করেছিলেন। তিনি তেষট্টি বছর বয়সে নিজ জন্মস্থান গাঞ্জে ৬০২ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। সেখানেই তাঁর সমাধি অবস্থিত।

প্রেমের গল্প বলা রহস্যজ্ঞানী কবি নিযামী
উল্লেখযোগ্য রচনা: মাখযানুল আসরার (রহস্যসমূহের ভাণ্ডার), খসরু ও শিরীন, লাইলী ও মজনূন, হাফ্ত পায়কর, ইস্কান্দারনামা
TemplateOrganized

:

:

:

: