সোলায়মানি : একজন ‘মুসলিম চে গুয়েভারা’র মৃত্যু এবং বিপ্লবী সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা
রামিন মাযাহেরি*
‘বর্বর শত্রুর বিরুদ্ধে ঘৃণা পোষণ ব্যতীত একটি জনগোষ্ঠী জয় লাভ করতে পারে না।’- চে গুয়েভারা
ইরাকের মাটিতে ইরানের কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাÐ অনেক কিছুরই জন্ম দেবেÑ ওয়াশিংটনের প্রতি বৈশ্বিক ক্ষোভ ও ঘৃণা নিঃসন্দেহে এগুলোর অন্যতম।
বিশ্বজুড়ে এঘটনার মূল্যায়নগুলো একই ধরনের, আর তা হলো ওয়াশিংটন যা করেছে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। নয়া সাম্রাজ্যবাদের অন্তহীন লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে ইরানের জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবকে বিপরীত মুখে ঘুরিয়ে দেয়ার রক্তপিপাসায় ওয়াশিংটন তার বর্বর অনৈতিকতা বিদ্যুৎস্পৃষ্টতায় বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, বরং তার এলিট শ্রেণির নগ্ন স্বার্থ পূরণে সংঘটিত কাপুরুষোচিত, বেআইনি ও অমানবিক এঘটনার যে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যাবে, আমাদের উচিত হবে ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রকৃত পটভূমি খতিয়ে দেখা।
তাঁকে ‘মুসলিম চে গুয়েভারা’ হিসেবে অভিহিত করা যায়। তাঁকে কেবল ‘ইরানি চে’ হিসেবে অভিহিত করা যায় না। কেননা, চে’র আদর্শ তা সমর্থন করে না।
এই আর্জেন্টিনিয় ব্যক্তির মত, সোলাইমানি তাঁর জীবনের বহু বছর বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কাটিয়েছেন এবং বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্ববোধের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে পরিশেষে বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সোলাইমানিকে ‘ইরানি চে’ হিসেবে সীমিত করার প্রয়াসও একইভাবে কোনো অর্থ বহন করে না, কেননা, ইরানের এ বিপ্লবের আদর্শও তা সমর্থন করে না। সোলাইমানির মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ২০১৯-এ এসে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী যুদ্ধে দৃশ্যত একলা ইরান তাদের প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্তর্জাতিকতাবাদের কারণে অ-ইরানিদের জন্য তাদের সময়, অর্থ, রক্ত, ভালোবাসা ও জীবন উৎসর্গ করে আসছে।
চে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে। যে দলটির সাথে চে নিহত হন তা ছিল আন্তর্জাতিকÑ পেরু, আর্জেন্টিনা, কিউবা, বলিভিয়া, এমনকি ইউরোপের দু’জন অধিবাসীও ছিলেন। আজ যদি ইরাক ও সিরিয়ায় সোলাইমানির উপস্থিতি না থাকত তাহলে উভয় দেশই হয়ত সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের অধীনই রয়ে যেত এবং সেই সাথে সম্ভবত লেবাননেরও একই পরিণতি ঘটত।
ইরানের বিপ্লব তার লক্ষ ও পরিসরের দিক থেকে তেমনই আন্তর্জাতিক যেমনটা ছিল কিউবার বিপ্লবÑ চে ছিলেন যার সৃষ্টি ও প্রতিরক্ষার অংশবিশেষ। ইরানের সমালোচকেরা বলে থাকে যে, তারা সকল মুসলমানকে শিয়া বানাতে চায় আর তাদের নিজেদের আইন-কানুনগুলোকে সমগ্র বিশ্বের আইন-কানুনে পরিণত করতে চায়। কিন্তু তা নিশ্চিতভাবেই সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমাদের ঔদ্ধত্য ছাড়া অন্য কিছু নয়- ইরানের প্রগতিশীল লক্ষ নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং গণমানুষের মুক্তি এবং তাদের ক্ষমতায়ন।
কিছুসংখ্যক পশ্চিম বোধহয় অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, সন্দেহাতীত ভাবেই চে’র প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল লাটিন আমেরিকান জাতীয়তাবাদ এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিকতাবাদের মনোচিত্র। তাঁর স্বপ্ন ছিল বলিভার, কিউবার মার্তি এবং চিলি ও নিকারাগুয়ার অন্যান্য সংগ্রামীর মতোই। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে যাঁরা ঐতিহাসিক যথার্থতার ভিত্তিতে বিচার করতে সক্ষম, তাঁরা ঠিক এখানেই সোলাইমানির ‘বিশ্ব মুসলিম জাতীয়তাবাদ’ এর সাদৃশ্য খুঁজে নিতে পারেন। কেবল ধর্মবিদ্বেষী, সংকীর্ণমনা, চরম ইরানবিদ্বেষী ও ইসলামবিদ্বেষীরাই তা দেখতে অপারগ।
এধরনের ব্যক্তিদের অন্ধত্বে লক্ষ-কোটি জনতার কিছু আসে যায় না। সোলাইমানির মতোই সমসাময়িক নেতৃস্থানীয় বামপন্থিগণ এবং বিপ্লবীরা চে’কে অস্বীকার করেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন চে’ এবং ওয়াশিংটনের প্রতি তাঁর বিরোধিতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিল যা খুব সংখ্যক ব্যক্তিই হয়ত আজ মনে রেখেছেন। মস্কো ইউরোপীয় কায়দায় জোর দিয়ে আসছিল যে, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণের নেতৃত্ব শুধু তাদের হাতেই থাকবে। অল্প কথায়, যেহেতু সোভিয়েত ইউনিয়ন ইতিমধ্যে বিদেশিদের কবলমুক্ত হয়েছে, এখন আর কারো অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার প্রয়োজন নেই। নিশ্চিতভাবেই চে’র মৃত্যুকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর ফ্যাসিবাদবিরোধী বীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল না, যাঁকে চে’ একসময় ‘পিতা স্টালিন’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ক্রুশ্চেভ, ব্রেজনেভ ও পরবর্তীকালে গর্বাচেভ ক্ষয়িষ্ণু, দুর্নীতিপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন, এমনকি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম থেকে তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরিশেষে তাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সোভিয়েত জনগণের ব্যাপক গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার বিপরীতে গিয়ে শীর্ষ পর্যায় থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধসিয়ে ফেলেন।
পশ্চিমা অথবা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের বামপন্থিগণ যারা পরিষ্কারভাবে দেখতে অপারগ, তাদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছা করে- কেন সোলাইমানিকেও হত্যা করা হলো? তারা কি এখনো এই ঘোরের মধ্যে আছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় তিনি একজন ‘ইসলামি-ফ্যাসিস্ট’ ছিলেন? ওয়াশিংটন নিঃসন্দেহে ফ্যাসিস্ট, কিন্তু তারা এমন ধরনের ইসলামবিদ্বেষী নয় যে, কেবল মুসলমান হওয়ার কারণেই সোলাইমানিকে হত্যা করবে। আমি আশা করি, এই দলটি তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং একদিন তারা তা বুঝতে সক্ষম হবে।
চে’-কে হত্যা করা হয়েছিল কারণ তাঁর ¯পষ্ট লক্ষ ছিল ‘বহু ভিয়েতনাম’ সৃষ্টি করা। নিশ্চিতভাবেই সিরিয়া, ইরাক, এমনকি ফিলিস্তিনের অনেক রাস্তাই সোলাইমানির নামে নামকরণ হবে। সোলাইমানি নিঃসন্দেহে সফল হয়েছিলেন। কিন্তু ইরাক আক্রমণ, অবরোধ ও পুনঃদখলকরণ পশ্চিমাদের ভিয়েতনামের মতো জাগ্রত করে নি। কী কারণে? হয়ত ইসলামবিদ্বেষ এর একটি কারণ। সেটা যাই হোক, ইরাকিদের প্রতি অবিচার এক্ষেত্রে ইরানিদের অনুপ্রাণিত করেছিল। যেমন, সোলাইমানি।
চে’ কি সফল ছিলেন? তিনি বলিভিয়া ও কংগোতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কিউবা ‘আমেরিকা মহাদেশের প্রথম’ এবং সঠিকভাবেই কারো মতে একমাত্র ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। কিউবা যেভাবে অ-ল্যাটিন অ্যাঙ্গোলার পাশাপাশি তার সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে তা অবমূল্যায়িতই রয়ে গিয়েছে যা দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে সরাসরি অবদান রেখেছিল। অ্যাঙ্গোলা দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী দেশ পর্তুগালের উপনিবেশের অধীনে ছিল। চে’ তাই নিঃসন্দেহে সফল ছিলেন।
পশ্চিমে চে’ কেবলই সফল ব্যবসার উপকরণ। তাঁর মুখচ্ছবি সকল পণ্যেই বিক্রয় হয়। কিন্তু তাঁর চিন্তা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং মনে রেখেছে বলে ধরে নেয়াটা হাস্যকর হবে। পশ্চিমাদের জন্য চে’ শুধুই রোমান্স-এর প্রতীকÑ বিপ্লব, রাজনীতি বা নৈতিকতার নয়। আর ঠিক এখান থেকেই এ নিবন্ধে সোলাইমানিকে যথাযথ ঐতিহাসিক পটভূমিতে স্থাপনের যাত্রা শুরু।
যদি ইরানি জাতি ধারণা করে থাকে যে লক্ষ-কোটি ইরানি জনগণের জীবন বিনষ্টকারী বর্বরতা ও ঘৃণার মোকাবিলায় পার্থিব পুরস্কারের আকাক্সক্ষামুক্ত আত্মোৎসর্গ ব্যতীত কেবল রোমান্স আর দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের বিপ্লবের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে তাহলে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। বিপ্লব প্রায়শই ব্যর্থ হয়Ñ ফরাসিদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। তারা এখনো বাস্তিল দিবস উদযাপন করে থাকে, কিন্তু তা কেবলই রোমান্স আর প্রদর্শনী।
ঐসকল অ-ইরানির প্রতি, যাঁরা মনে করেন ইরানের এ বিপ্লবের বৈশ্বিক কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বিশেষ করে আঞ্চলিক কোনো জরুরতই নেই, অনুগ্রহ করে ইরাকি, সিরিয়ান অথবা ফিলিস্তিনিদের জিজ্ঞেস করে দেখুন তাঁরা একমত পোষণ করেন কিনা। আমার প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী ইসলামি সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোও একসময় এর অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন মিশর, মরক্কো এবং সৌদি আরব। একদিন দেশে দেশে চে’ এবং সোলাইমানির সন্তানেরা একত্রিত হবে যারা কেবল মুসলমান বা ল্যাটিন হবে না ইনশাআল্লাহ।
তাঁদের প্রতি, যাঁরা মনে করেন যে, সোলাইমানির এ ঘটনাটিই শেষ নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তাঁদের স্মরণ করা প্রয়োজন যে, চে’র হত্যাকাণ্ড ছিল সূচনামাত্র- সুকর্ন ক্রুমাহ, বেন বেলা, মার্টিন লুথার কিং, রবার্ট কেনেডিকে শিগগিরই সে পথে যেতে হয়েছে। সেই সাথে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বদেশে ইতিপূর্বে ম্যালকম এক্স ও জন কেনেডি একইভাবে নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন কোনো নীতি নয় এবং আমাদের এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে, হঠাৎ করে এখন তা শুরু হয়েছে। এধরনের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কারÑ ভবিষ্যৎ বিপ্লবীদের নিরুৎসাহিত করা এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করা।
যাইহোক ইরানের বিপ্লব নিয়ে আমি এব্যাপারে চিন্তিত নই যে, সোলাইমানির মৃত্যুতে তা শেষ হয়ে যাবে। এবং আমি তাঁর আত্মত্যাগ ও অর্জনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তা বলছি। কেবল একজন ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের ওপর ভর করে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে বিপ্লব বলা যায় না, আর তা জনভিত্তিও লাভ করে না। এমন ধারণা প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী চিন্তায় ‘মহা-মানববাদী’ ধারণা থেকে উদ্ভূত। একটি সফল বিপ্লবী সংস্কৃতি একটি সিস্টেম গড়ে তোলে যা বিপ্লবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৈতিক ও সক্ষম নেতৃত্ব পুনরুৎপাদন করে চলে। ইরানের জনগণ তাই এধরনের শোকাবহ দিনগুলো সত্তে¡ও ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে একটি সফল বিপ্লবের ওপর তাদের ভবিষ্যতের আশা ও আকাক্সক্ষা স্থাপন করেছে।
ট্রাম্প যা করেছেন তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। কিন্তু তড়িঘড়ি কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ সোলাইমানি এবং আরো অনেকে যে উদ্দেশ্যে তাঁদের জীবন দিয়েছেন তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সোলাইমানি কোনো ব্যক্তিস্বার্থকে জাতি ও সংগ্রামের স্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিয়ে একজন মুসলমান চে’ হয়ে উঠেন নি।
চে’র মৃত্যুকে কীভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন ছিল তা অ্যাঙ্গোলাা করে দেখিয়েছে- তারা ‘চে মরেন নি’- এই শিরোনামে প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করে যা গিনি বিসাউ-এ পর্তুগীজদের নিয়ন্ত্রণ এবং পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে পর্তুগীজ সাম্রাজ্যের সমাপ্তির সূচনা করে বলেই প্রমাণিত হয়।
সোলাইমানিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ, পশ্চিমা নেতৃত্বে বহু দশক ধরে চলে আসা লুটপাট, ঘৃণা এবং বর্বরতার পর ইরাক আজ যথেষ্ট শক্তিশালী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা এমনকি অতি শীঘ্র আমেরিকার সেনাবাহিনীকে শান্তিপূর্ণভাবে বের করে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে। আমার মনে হয় না সোলাইমানি এর চেয়ে সফল কোনো উত্তরাধিকার রেখে যেতে চেয়েছিলেন- আর এজন্যই তিনি আত্মোৎসর্গ করে গিয়েছেন।
*রামিন মাযাহেরি প্যারিসে প্রেস টিভির প্রধান প্রতিবেদক। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ফ্রান্সে বসবাস করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে এসেছেন এবং ইরান, মিশর, কিউবা, তিউনিসিয়া, সাউথ কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিবেদনের কাজ করেছেন।
‘I’ll Ruin Everything You Are: Ending Western Propaganda on Red China’ তাঁর লিখিত গ্রন্থ। তাঁর অপর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘Socialism’s Ignored Success: Iranian Islamic Socialism’।
সোলায়মানি : একজন ‘মুসলিম চে গুয়েভারা’র মৃত্যু এবং বিপ্লবী সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা | |