এজেন্সি
আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মাদ রুদাকি

আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মাদ রুদাকি

আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মাদ রুদাকি

আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মাদ রুদাকি (৮৫৯-৯৪০ খ্রি.), যিনি তাঁর উপনাম রুদাকি দ্বারা বেশি পরিচিত, তিনি ছিলেন সামানি শাসক দ্বিতীয় আমির নসর  (৯১৪-৯৪৩ খ্রি.) এর দরবারের কবি। রুদাকি ৮৫৯ সালে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আমির নসর তাঁকে এতটাই মূল্যায়ন করতেন যে, তিনি তাঁকে সম্পদশালীতে পরিণত করেছিলেন। পণ্ডিত সাসান তাবাতাবাই উল্লেখ করেছেন, রুদাকি এতটাই সম্পদশালী ছিলেন যে, দুইশ ক্রীতদাসের অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর মালপত্র বহন করার জন্য একশ উটের প্রয়োজন হতো। যদিও প্রায়শই দ্বিতীয় নসরের অধীনে দরবারে তাঁর প্রথম আগমনের কথা উল্লেখ করা হয়,কিন্তু তাঁর বিদ্যমান রচনাবলি এটাই স্পষ্ট করে যে,তিনি দ্বিতীয় নসরের পিতা আমির আহমদ সামানি (৯০৭-৯১৪ খ্রি.)-এর অধীনে একজন সম্মানিত কবি ছিলেন। এই উচ্চ স্তরের সম্মান রুদাকির অপরিমেয় প্রতিভা এবং প্রতিটি কাব্যকাঠামো তৈরির দক্ষতার কারণে হয়েছিল। তাঁর খুব কম কাজই বর্তমানে টিকে আছে (পরবর্তী লেখকদের দ্বারা উল্লিখিত এক মিলিয়নেরও বেশি রচনার মধ্যে মাত্র ৫২টি কাজ)। কিন্তু এগুলো স্পষ্ট করে যে, তিনি অপরিমেয় শক্তির একজন কবি ছিলেন যিনি জটিল আবেগের অবস্থাকে সাধারণ চিত্রে প্রকাশ করতে সক্ষম ছিলেন। তিনি দিওয়ান (একজন কবির সংক্ষিপ্ত রচনার সংকলন) এর ধারণা সৃষ্টি করেছিলেন এবং গজল, কাসিদা ও রুবাইসহ কবিতার সাহিত্যিক রূপগুলো বিকাশ করেছিলেন বলে অনেকের কাছে তিনি ‘ফারসি সাহিত্যের জনক’ বলে গণ্য। রুদাকি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করেছিলেন এবং একারণেই তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়।  তিনি চ্যাং (বীণা) -এর খুব পারদর্শী গায়ক এবং বাদকও ছিলেন।

আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মাদ রুদাকি
রুদাকি
কালিলা ও দিমনা

:

:

:

: