এজেন্সি
নারিন দুর্গ, ইয়ায্‌দ

নারিন দুর্গ, ইয়ায্‌দ

নারিন দুর্গ, ইয়ায্‌দ

নারিন দুর্গ, ইয়ায্‌দ

নারিন দুর্গ : প্রায় দুই সহস্রাব্দের পর নারিন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এখনও ইরানের প্রাণকেন্দ্রে মেবোদ শহরের মরুদ্যানের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটি নির্মাণের তিনটি স্তর রয়েছে। দুর্গের প্রাচীনতম ভিত্তিগুলো থেকে বোঝা যায়, এখানে ৪ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম দিকে কোনো বসতি গড়ে উঠেছিল। দুর্গটি ছিল বাদশাহ সোলাইমানের এবং এটি নির্মাণ করেছিল জিনেরা। তবে দুর্গের ভিত্তির মূল উৎস যাই হোক না কেন, আজ যা দেখা যায় তার বেশিরভাগই সাসানি যুগের।

ঐতিহাসিক সূত্রমতে, সিল্ক রুটের উপর অবস্থিত দুর্গটি সৈন্যরা ব্যবহার করত। এসব সৈন্যরা কাফেলাগুলোকে সশস্ত্র প্রহরায় পার করে দিত। বিনিময়ে তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো।

দুর্গের উপর থেকে মেবোদ শহরের আকর্ষণীয় দৃশ্য উপভোগ করা যায়। দুর্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা কিভাবে দুর্গের দেয়ালের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। শহরের চারপাশে ওয়াচটাওয়ার রয়েছে।

নানাভাবে সাসানি শাসনের অধীনে ইরান পারস্য সভ্যতায় অসাধারণ সাফল্যের সাক্ষী ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাসানিদের সময়ে জাতির শিল্প ও স্থাপত্য একটি সাধারণ নবজাগরণ অনুভব করেছিল।

ধ্বংসাবশেষের উচ্চতা ভিত্তি থেকে ৪০ মিটার। ছাদের উপর থেকে প্রতিটি দিকে ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
 
দুর্গটিতে একটি বিশাল আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারও রয়েছে। সম্ভবত এটি একটি কারাগার ছিল।

যদিও এটি প্রায় ২ হাজার বছর আগে নির্মাণ করা হয়। কেউ কেউ মনে করেন, ইসফাহানের আলী কাপু প্রাসাদের সাথে নকশার ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে মিল রয়েছে।

কাঠামোটিতে একটি বড় ভূগর্ভস্থ চেম্বারও রয়েছে, যা এখন ধ্বংসস্তূপে ভরা)। সম্ভবত এটিও একটি কারাগার ছিল। চারটি টাওয়ার পুরো আঙ্গিনাকে ঘিরে রেখেছে এবং একটি বড় গেট দিয়ে বড় উঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঠামোটি যুগে যুগে অসংখ্য ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে বলে মনে করা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।

নারিন দুর্গ, ইয়ায্‌দ
সাসানি যুগ

:

:

:

: