এজেন্সি
কেল্লেয়ে দোখতার বা দোখতার দুর্গ, পূর্ব আজারবাইজান

কেল্লেয়ে দোখতার বা দোখতার দুর্গ, পূর্ব আজারবাইজান

কেল্লেয়ে দোখতার বা দোখতার দুর্গ, পূর্ব আজারবাইজান

কেল্লেয়ে দোখতার বা দোখতার দুর্গ মিয়ানে শহরের হাখামানশি অংশে (পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে) অবস্থিত। এই দুর্গ নির্মাণের সঠিক তারিখ,কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি এবং এই বিষয়ে অনেক কিংবদন্তি রয়েছে। এই কিংবদন্তিগুলোর মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে যে, প্রথম আরদাশির (ইরানের সাসানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা) এটিকে বিদ্রোহী রাজকুমারীর জন্য একটি কারাগার হিসাবে তৈরি করেছিলেন এবং এটি সাসানি যুগের প্রথমভাগে নির্মিত হয়েছিল। কখনো বলা হয়েছে,এর নির্মাণ হিজরি সপ্তম শতাব্দীর সাথে সম্পর্কিত। আবার বলা হয়েছে, দুর্গটি একজন ব্যবসায়ী তার কন্যাদেরকে মঙ্গোলদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করেছিলেন। আরেকটি জনশ্রুতি ছিল, এটি জলের অভিভাবক দেবী নাহিদ বা অনাহিতার পূজা করার জন্য একটি মন্দির হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। অবার বলা হয়, এটি মঙ্গোল ইলখানি রাজবংশের সময় নির্মিত। কখনও বলা হয়েছে যে, এটি সাসানি সম্রাটদের একজন বিখ্যাত সেনাপতি বাবাক খোররামদিন কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। এরকম আরও অনেক কথা এই দুর্গ সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে।

দোখতার দুর্গের দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। এটি পোল-দোখতার সেতুর কাছে পাথর ও কাদামাটির একটি অনিয়মিত বহুভুজের আকারে এবং একটি পাথরের উপর নির্মিত। দুর্গের তিনটি অংশ রয়েছে: ১. বহিঃপ্রাচীর (যা দুর্গের ২৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার দ্বারা সুরক্ষিত ছিল);২.অভ্যন্তরীণ প্রাচীর (যেটি দুর্গের প্রধান অংশকে সুরক্ষিত করেছিল);এবং ৩. দুর্গের ভিতরের অংশ (দুর্গের কমান্ড পোস্ট)। দুর্গের মাঝখানে দুটি বড় পানির উৎস এবং বেশ কয়েকটি কূপ রয়েছে।

মিয়ানের দোখতার দুর্গ ছাড়াও ইরানের অন্যান্য শহর ও অঞ্চলে আরো দোখতার দুর্গ রয়েছে, যেমন : ফার্‌স প্রদেশের কেরমান, ফিরোজাবাদ,ফেরেশতেগান এবং ফাহলিয়ান,খোরাসান,কোম,তেহরানের শাহরেস্তানাক,চালাউস,নাইন,বুশেহর প্রদেশ, আলিগুদারজ,সাভেহ ইত্যাদি শহরে,যার বেশিরভাগই পাহাড় ও দুর্গম অঞ্চলে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে নির্মিত। দুর্গগুলো প্রাক-ইসলামি স্থাপনার বৈশিষ্ট্যসহ নির্মাণ করা হয়েছে।

কেল্লেয়ে দোখতার বা দোখতার দুর্গ, পূর্ব আজারবাইজান

:

:

:

: