এজেন্সি
খার্ক বা খার্গ দ্বীপ, বুশেহর

খার্ক বা খার্গ দ্বীপ, বুশেহর

খার্ক বা খার্গ দ্বীপ, বুশেহর

কিছুসংখ্যক ভূতাত্ত্বিককের মতে খার্ক বা খার্গ দ্বীপ ১৪০০০ বছরেরও বেশি পুরানো। এটি পারস্য উপসাগরের জেনাভে বন্দরের (বুশেহর প্রদেশ) উপকূলের কাছে অবস্থিত। এই আবাসিক দ্বীপটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও কৌশলগত অবস্থান রয়েছে এবং এটি বিশ্বে তেল রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল।

খার্ক দ্বীপের গঠন হয়েছে জীবাশ্ম, প্রবাল,ঝিনুকজাতীয় প্রাণী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে বালির মিশ্রণে এবং দ্বীপপৃষ্ঠের একটি পাতলা স্তর রয়েছে যার পুরুত্ব প্রায় বিশ সেন্টিমিটার থেকে পাঁচ মিটার পর্যন্ত এবং তা যথেষ্ট শক্ত। খার্ক দ্বীপের আবহাওয়া গরম এবং এর গ্রীষ্মকালটি আর্দ্রতাপূর্ণ। দ্বীপের সর্বোচ্চ স্থানটিকে মাউন্ট দিদেহবান বলা হয়,যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৭ মিটার উপরে। একটি খিলানের আকারে মৃদু ভূতাত্ত্বিক ভাঁজের ফলে দ্বীপটির গঠন এমন হয়েছে।

খার্ক দ্বীপে নির্মিত স্থাপনাগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: ঐতিহ্যবাহী নির্মাণ (বেশিরভাগ স্থানীয়দের দ্বারা) এবং আধুনিক নির্মাণ (তেল টার্মিনাল এবং সরকারি বিভাগ)। নগরীর শহুরে গঠনটি সরু ও আন্তঃসংযুক্ত গলিসমেত ঘিঞ্জি। জনসংখ্যার ঘনত্বও বেশ বেশি। এখানকার বিল্ডিংগুলোকে একটি ছোট উঠানসহ একতলা বিল্ডিং এবং বহুতল ভবনে ভাগ করা যেতে পারে। পুরানো স্থাপনাগুলোর মধ্যে কিছু বড় এবং সুন্দর প্রাসাদ রয়েছে,যেগুলোর বেশিরভাগই ব্রিটিশ আমলে অফিসের কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

খার্ক দ্বীপ,যাকে ‘পারস্য উপসাগরের অনাথ রত্ন’ বলা হতো,সেখানে লোকবসতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এখানে অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, যেমন : সাসানি যুগের সাথে সম্পর্কিত একটি অগ্নি মন্দির,একটি ডাচ দুর্গ,একটি ইসলামিক কবরস্থান,পালমিরান মন্দির,একটি খ্রিস্টান কবরস্থান,একটি ডাচ বাগান,প্রাক-ইসলামি যুগের একটি কবরস্থান,মীর মোহাম্মদ হানাফিয়ের সমাধি,দেলমান বা দুই বোনের সমাধি এবং প্রাচীন ফারসি ভাষা ও কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা ২৪ বছরের পুরনো একটি হাখামানশি শিলালিপি।

খার্ক দ্বীপের উত্তর অংশে খারগৌ নামে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট দ্বীপ রয়েছে।

খার্ক বা খার্গ দ্বীপ, বুশেহর

:

:

:

: