এজেন্সি
কেরমানশাহ

কেরমানশাহ

কেরমানশাহ

কেরমানশাহ: প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রত্নতত্ত্ববিদ ও পর্যটকদের কাছে ইরানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হচ্ছে কেরমান শাহ। দারীয়ূশ যুগের পাহাড়ের গাত্রে লিখিত শিলালিপি বিস্তুুন (সময়কাল ৫২২ খ্রিস্টপূর্ব)। এগুলো পাহাড়ের গায়ে প্রায় ১৩০০ মিটার উঁচুতে লিখিত। প্রাচ্যের প্রতœতত্ত্বের এটি অন্যতম নিদর্শন। এটি ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট এর অন্তর্ভুক্ত। কেরমান শাহ থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর দিকে এর অবস্থান। সাসানি সম্রাট দ্বিতীয় খসরুর সময়কালে (৫৯১-৬২৮ খ্রি.) এগুলোর পুনর্বিন্যাস করা হয়। কানাগাভার আর্কিওলজিক্যাল কমপ্লেক্স কেরমান শাহের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানকার নিদর্শনগুলো সাসানি বা তার পূর্বের সময়কার। ১৯৬৮ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। পার্সেপোলিসের আদলে এটি গড়ে তোলা হয়েছে।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে দালাহো, গিলানে র্গাব, ইসলামাবাদে র্গাব, জাভানরুদ, রাভানসার, সোলসে বাবাজানী, সারপুলে যাহাব, কাসরে শিরীন, কোন ব্রীজ, মালেক মাযার, দারবাদ সাহনে, হারকিউলিসের ভাস্কর্য, ইমামুদ্দৌলা মসজিদ, মাসজিদে শাহবাজখান, কেলিসেহায়ে আরামানে, খানকায়ে খাকসার, মাদারাসায়ে কাজ্জাজী, কাভারসারায়ে ফয়েজ আবাদ, তাকীয়ে বেগলবাগী, হার্ন্টাস গুহা, গারে দো আশকাফত, গারে কোবা, গারে কোল দাউদ, গারে অরঅসি, গারে কুলিয়ান, গারে অজমে, তাপ্পে সারাপ, তাপ্পে অসিয়াব, তাপ্পে ভেরগার, কেরমান শাহ জামে মসজিদ, মসজিদে হাজ শাহবাজ খান, মসজিদে আয়াতুল্লাহ বোরুজারদী, মসজিদে চেহেল সেতুন, মাসজিদে শাফেয়ী, মাসজিদে দৌলতশাহ, মাসজিদে শাহজাদে, মাসজিদে নোয়াব, কাজার শাসনামলে (১৭৯৪-১৯২৫ খ্রি.) নির্মিত কেরমান শাহ বাজার মসজিদ, খাজা বুখারী হাউজ প্রভৃতি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নিদর্শন। কাজার আমলে প্রতিষ্ঠিত এনথ্রোপলোজি মিউজিয়াম, জাগরেস পালিওলেথিক মিউজিয়াম এবং এপিগ্রাফি মিউজিয়াম, মোয়াভেনাল মূল্ক মসজিদ, কোহেস্তা পার্ক, পার্কে শারফি, পার্কে গারবি, পার্কে কুহেস্তান, পার্কে শাহেদ, পার্কে লব অলু, পার্কে লালে, পার্কে শার, পার্কে শিরিন, পার্কে ফানফার, পার্কে মোয়াল্লেম প্রভৃতি। এছাড়া ব্যতিক্রমী পাখি মিউজিয়াম রয়েছে যেখানে প্রায় দুই শতাধিক পাখির প্রজাতি রয়েছে। এটি কেরমান শাহ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কেরমানশাহ

:

:

:

: