এজেন্সি
রোযার উপকারিতাসমূহ

রোযার উপকারিতাসমূহ

রোযার উপকারিতাসমূহ

তাহমিনা হুসাইন

রোযা মহান আল্লাহর ইবাদতসমূহের অন্যতম। রোযা একটি ফারসি শব্দ। এর আরবি শব্দ হচ্ছে ‘সিয়াম’ যার অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। পারিভাষিক অর্থে রোযা হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা। আমরা প্রতি বছর রমযান মাসে রোযা রাখি। আমরা এ কারণে রোযা রাখি যে, মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের ওপর তা ওয়াজিব করেছেন। আমাদের জানতে হবে মহান রাব্বুল আলামীন কেন আমাদের উপর রোযা রাখাকে ওয়াজিব করেছেন এবং এর উপকারিতাসমূহ কী কী?

রোযা শারীরিক দিক থেকে সুস্থতা দান করে এবং মানসিক দিক থেকে মানুষকে পশুবৃত্তিক চরিত্র থেকে রক্ষা করে। রোযা একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। রোযার উপকারিতাসমূহ নিম্নরূপ :

তাকওয়া অর্জন

রোযা সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন :

يا أيّها الّذين آمنوا كتب عليْكم الصّيام كما كتب على الّذين من قبْلكمْ لعلّكمْ تتّقون

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমনভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’- সূরা বাকারা : ১৮৩

রোযার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের ইবাদতের জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের জন্য যাতে মানুষ এ পৃথিবীতে এবং পরকালের অনন্ত জীবনে সফলকাম হতে পারে। মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন ও প্রিয়ভাজন হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন:
إنّ أكْرمكمْ عند اللّه أتْقاكمْ

‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে তাকওয়াবান ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত।’- সূরা হুজুরাত : ৩
আর রোযার মাধ্যমেই আমরা তাকওয়া অর্জন করে আল্লাহর নিকট সম্মানিত হতে পারি। কারণ, রোযার মূল শিক্ষাই হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা।

গুনাহ থেকে রক্ষা

রোযা আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে রক্ষা করে থাকে। রোযা রাখার অর্থ শুধু পানাহার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখাই নয়; বরং অন্যান্য অঙ্গকেও হারাম কাজ থেকে দূরে রাখা। এ মাসে মানুষ বেশি বেশি ইবাদত করে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে। তাই আল্লাহও তাঁর বান্দাদের প্রতি অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে বেশি দয়াশীল হন। এ মাসে মহান রাব্বুল আলামীন শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করেন যাতে সে মানুষকে ধোঁকা দিতে না পারে।
একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) রমযান মাস সম্পর্কে মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন, এমন সময় হযরত আলী (আ.) জিজ্ঞেস করলেন- এ মাসের উত্তম আমল কী? রাসূল (সা) বললেন : ‘আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা থেকে দূরে থাকা।’ অর্থাৎ সকল প্রকার গুনাহ থেকে দূরে থাকা। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে : الصوم جنة من النار অর্থাৎ রোযা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢালস্বরূপ।

মানবচরিত্রের পরিশুদ্ধি

রোযা মানুষকে সুন্দর চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। মানুষ সাধারণত তার নাফ্সের কুপ্ররোচনায় এবং শয়তানের ধোঁকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে। রোযা মানুষকে তার নাফ্সের প্রতি বিজয়ী হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোযা মানুষকে বিভিন্ন প্রকার অন্যায়, অশ্লীল ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখে। এ মর্মে এক রেওয়াত এসেছে : ‘সেই হচ্ছে সর্বোত্তম ব্যক্তি যে তার নাফ্সের সাথে জিহাদ করে এবং সেই হচ্ছে সর্বাধিক শক্তিশালী মানুষ যে তার নাফ্সের ওপর বিজয়ী হয়।’
একমাত্র রোযাই আমাদেরকে নাফ্সের ওপর বিজয় হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোযা মানুষের চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ধৈর্যের শিক্ষা

আমরা জানি, রোযা হচ্ছে সাধনার মাস। রোযা আমাদেরকে ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। আমাদের উপর যে কোন ধরনের বালা, মুসিবত, দুঃখ, কষ্ট, অভাব-অনটন আসলে আমরা ধৈর্যহারা হয়ে পড়ি, আমরা নিরাশ হই। রোযা আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে আমরা এ সকল বিপদে ধৈর্য ধরতে পারব। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, রোযা কীভাবে ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। রোযা আমাদের ঈমান অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে দৃঢ় করে। যার ফলে আমরা যে কোন ধরনের বিপদকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হই এবং সকল কাজ ধৈর্যের সঙ্গে করতে পারি। এক রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে : ‘রমযান ধৈর্যের মাস আর ধৈর্যের প্রতিদান হচ্ছে বেহেশত।’

গীবত করা থেকে বিরত রাখা

গীবত একটি সামাজিক ও আত্মিক ব্যাধি। এর মাধ্যমে সমাজ কলুষিত হয় ও তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গীবতের ফলে ঈমান দুর্বল হয়ে থাকে। তাই মহানবী (সা.) ও ইমামগণ এটাকে অপছন্দনীয় ও নিন্দনীয় কাজ বলেছেন এবং পবিত্র কোরআনের বক্তব্য অনুসারে গীবতকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করে মুমিন ব্যক্তিদেরকে এ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রোযা আমাদেরকে একে অপরের গীবত করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। এ সম্পর্কে রাসূল (স.) বলেছেন : ‘যদি কেউ তার মুসলমান ভাইয়ের গীবত করে তাহলে তার রোযা বাতিল হয়ে যাবে।’

হারাম খাওয়া থেকে বিরত রাখা

খাদ্য মানুষের মন ও শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। যে ব্যক্তি হারাম খাদ্য খেয়ে বড় হয়েছে সে কখনো একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। পবিত্রভাবে জীবন-যাপন করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে হালাল ও হারাম খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে বলেন :
يا أيّها الرّسل كلوا من الطّيّبات

‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিস থেকে আহার কর…।’- সূরা মুমিনুন : ৫১

রোযা আমাদেরকে হারাম খাওয়া থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন : আফসোস ওই ব্যক্তির জন্য যে হারাম খাবার দ্বারা ইফতার করে। কারণ, সত্যিকার রোযা হচ্ছে হালাল খাবার দ্বারা।’
অন্য একটি হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘যদি কেউ হারাম মালের দ্বারা ইবাদত করে তা কবুল হবে না। হারাম খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তির রোযার কোন সওয়াব নেই।’

মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখা

মিথ্যা হচ্ছে সকল গুনাহের মূল উৎস। মিথ্যা মানুষের ব্যক্তিগত, সাংসারিক ও সামাজিক জীবনে বিপর্যয় ও দুর্যোগ ডেকে আনে। মিথ্যা মানুষের জীবনকে বিষময় করে তোলে। রোযা আমাদেরকে মিথ্যা বলা থেকে দূরে রাখে। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি রোযা রাখা অবস্থায় মিথ্যা বলা বন্ধ করে না, তার ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকার কোন প্রয়োজন নেই।’ অন্য একটি হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘চারটি জিনিস রোযার ফযিলত নষ্ট করে- মিথ্যা, গীবত, চোখলখুরী ও হারাম দৃষ্টিপাত।’

রোযা মানুষের অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি করে। যার ফলে সে আল্লাহকে ভয় পায় এবং মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকে।

দোয়া ও ইস্তিগফারের শিক্ষা

রমযান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও দোয়া কবুলের মাস। এ মাসে আল্লাহ স্বীয় রহমতের দরজা খুলে দেন ও বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল হন। বান্দা যতই গুনাহ করুক এই মাসে যদি আন্তরিকতার সাথে তওবা ও ইস্তিগফার করে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন।

এ সম্পর্কে রাসূল (স.) বলেছেন : ‘রমযান মাস ইস্তিগফার ও সিয়াম সাধনা এবং দোয়ার মাস।’

এ মাসে বেশি বেশি করে দোয়া পাঠ করার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে। কারণ, আল্লাহ এ মাসে তাঁর বান্দাদের দোয়াকে কখনো ফিরিয়ে দেন না। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘রোযাদারের দোয়া কখনো নিষ্ফল হয় না।’

বেশি বেশি কোরআন পড়ার শিক্ষা

কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানবজীবনের সমস্ত প্রয়োজনীয় বিধান এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা এই দুনিয়ার প্রেমে গাফিল হয়ে আমাদের জীবনবিধানকে ভুলে যাই। আমরা দুনিয়ার কাজে এতই ব্যস্ত যে, কোরআন পড়ার সময় পর্যন্ত পাই না। রমযান মাস আমাদেরকে বেশি বেশি করে কোরআন পড়ার প্রতি উৎসাহিত করে। কারণ, এই মাসে মানুষ দুনিয়ার কাজে কম ব্যস্ত থাকে এবং খোদামুখী হয়।
রাসূল (স.) বলেছেন : ‘যদি কেউ রমযান মাসে কোরআনের একটি আয়াত তেলাওয়াত করে তার সওয়াব ওই ব্যক্তির মতো যে অন্য মাসে একবার কোরআন খতম করেছে।’১০

নিয়ম শৃঙ্খলা অর্জনের শিক্ষা

রোযা আমাদেরকে নিয়ম-শৃঙ্খলা অর্জনের শিক্ষা দেয়। মানুষের জীবনে উন্নতির জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলার অনুসরণ অপরিহার্য। নিয়ম-কানুনের যথাযথ অনুসরণ ছাড়া আমরা জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারব না। আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.) নাহজুল বালাগায় ইমাম হাসান (আ.)-কে অসিয়ত করতে গিয়ে বলেন : ‘আমি তোমাদেরকে মহান আল্লাহর তাকওয়া অর্জন ও কাজ-কর্মে সুশৃঙ্খল হওয়ার অসিয়ত করছি।’১১

রমযান মাসে আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা অর্জনের শিক্ষা লাভ করি। আমরা যথা সময়ে সেহরী ও ইফতার করি। সময়ের কোন ত্রুটি করি না। রমযান মাসে আমরা সব কাজ সুশৃঙ্খলভাবে করে থাকি।

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া

রোযা আমাদেরকে দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোযা রাখার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে দরিদ্র ব্যক্তিরা অনাহারে ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় জীবন-যাপন করে। তাদের দুঃখ-কষ্টও আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। আর এ কারণেই মানুষ রমযান মাসে বেশি বেশি করে দরিদ্রদেরকে সাহায্য করে। অন্যদিকে বিভিন্ন রেওয়ায়াতে রমযান মাসে বেশি বেশি করে দরিদ্রদের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। রমযানের শেষে ‘যাকাতে ফেতরা’ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যার মাধ্যমে দরিদ্ররা উপকৃত হতে পারে। ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কে রোযা ফরয হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন : ‘যাতে ধনীরা দরিদ্রদের ক্ষুধার্ত অবস্থাকে উপলব্ধি করে এবং তাদের প্রতি গুরুত্ব দেয়।’১২

ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : ‘রোযা এ কারণে ওয়াজিব হয়েছে যাতে ধনী ও দরিদ্রদের মাঝে সমতা বজায় থাকে এবং দরিদ্রদের প্রতি ধনীদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করে।’১৩

চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযা

ডাক্তারি মতে রোযার উপাকারিতাসমূহ অনেক। মানুষের শরীর এক ধরনের যন্ত্রবিশেষ। এ যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ আপন গতিতে বিরতিহীনভাবে কাজ করছে। পাকস্থলি যার অন্যতম অংশ। এর কাজ হচ্ছে খাদ্যকে হজম করে খাদ্যের প্রয়োজনীয় অংশকে জমা রেখে অপ্রয়োজনীয় অংশকে বের করে দেওয়া। পাকস্থলি ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় যে, তা আর ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না, তখন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। একমাত্র রোযাই হচ্ছে এর উত্তম চিকিৎসা। ইমামগণ থেকে রেওয়ায়াত এসেছে যে, ‘মানুষের পাকস্থলি হচ্ছে অসুস্থতার কেন্দ্রবিন্দু, সংযত পানাহার হচ্ছে তার উত্তম চিকিৎসা।’ ধনী লোকদের অধিকাংশই আজকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যার মূল কারণ হচ্ছে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া। এ চর্বির কারণে মানুষ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। মানুষের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। একমাত্র রোযা অর্থাৎ অতিরিক্ত পানাহার থেকে দূরে থাকাই হচ্ছে এর উত্তম চিকিৎসা। বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস রুগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর উত্তম চিকিৎসা হচ্ছে রোযা বা অতিরিক্ত পানাহার থেকে দূরে থাকা। বর্তমান আধুনিক বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রমাণ করেছেন যে, অতিরিক্ত পানাহার থেকে দূরে থাকাই হচ্ছে অনেক রোগের নিরাময় ও একমাত্র চিকিৎসা যার কোন বিকল্প নেই। ঠিক যেরূপ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন : ‘রোযা রাখ যাতে সুস্থ থাক।’১৪

রোযা আমাদের সংযমী ও তাকওয়াবান হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোযার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনকে পরিশুদ্ধ করতে পারি। রোযা আমাদের দেহ ও মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং মনের সংকীর্ণতা দূর করে। রোযা মানুষকে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ও সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। রোযার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। রোযা আমাদের পরকালের পাথেয়। তাই আমাদের সবার উচিত রমযানের মাসের মধ্যেই এ ইবাদতকে সীমাবদ্ধ না রেখে অন্যান্য মাসেও বেশি বেশি রোযা রাখা এবং নিজেকে পাপ থেকে মুক্ত করা।

সংকলন : মাহে রমযানের সওগাত, সাংস্কৃতিক বিভাগ, শাহীদাহ বিনতুল হুদা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, কোম, ইরান।

তথ্যসূত্র
১. ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২২৮; ২. বিহারুল আনওয়ার, ৯৬তম খণ্ড, পৃ. ২৫৫; ৩. মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০২; ৪. উসূলে কাফী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.৬৩; ৫. বিহারুল আনওয়ার, ৬৯তম খণ্ড, পৃ. ৩৩১; ৬. হুলিয়াতুল আবরার, ১ম খণ্ড; ৭. ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ১১তম খণ্ড, পৃ. ১৪৪; ৮. ফাযায়েলু শাহরে ছালেছ, পৃ. ৬৬; ৯. মুসনাদে আহমাদ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭; ১০. চেহেল হাদীস আয কোরআন (কোরআনের ৪০ হাদীস), পৃ. ৬৪; ১১. নাহজুল বালাগাহ, হিকমত ৪; ১২. কাফী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৮১; ১৩. তাফসীরে নমুনা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৬২৮; ১৪. জামেউল হাদীস, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১০৩

রোযার উপকারিতাসমূহ

ইসলামিক কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন হল ইরানি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যেটি সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিভুক্ত; এবং 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[আরও]

:

:

:

: