এজেন্সি
মালেক ম্যানশন, বুশেহর

মালেক ম্যানশন, বুশেহর

মালেক ম্যানশন, বুশেহর

মালেক ম্যানশন: কাজার যুগে নির্মিত এই প্রাসাদটি বুশেহর (বুশেহর প্রদেশ) শহরের কাছে অবস্থিত। ঐতিহাসিক মালেক ম্যানশন (ইমারত-ই মালেক) প্রকৃতপক্ষে একটি কমপ্লেক্স যা ফরাসি স্থপতিদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় স্থাপত্য সামগ্রী দিয়ে এমন এক শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছিল যা পারস্য উপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের অতীত স্থাপত্য ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত এবং যেটি ‘বাংলো’ নামে পরিচিত।

এই ইমারতের কাঠামো পিশখান (একটি প্রশস্ত এবং খোলা জায়গা যা কমপ্লেক্সটিকে শহরের সাথে সংযুক্ত করে)- যা পেছনের দিক থেকে প্রবেশপথ এবং মূল ভবনের দিকে বিস্তৃত; বিল্ডিং প্ল্যাটফর্ম (একটি বড় স্থান এবং মূল ভবনের সাথে সংযুক্ত সিঁড়ি); প্রবেশদ্বার (একটি বারান্দা, তিন জোড়া কলাম এবং ধাতব সজ্জাসহ একটি বড় কাঠের দরজা) এবং প্রাসাদের প্রধান অংশ,যা অঙ্কনযুক্ত দেয়ালসহ একটি দ্বিতল ভবন নিয়ে গঠিত হয়েছে।

নিচের হলটি ব্যবসায়িক সভার জন্য এবং উপরের তলাটি মালিকের ব্যক্তিগত কাজের জন্য নির্মিত হয়েছিল। ভবনটিতে একটি সুরক্ষিত শীর্ষদেশ, একটি কুলঙ্গি,বেশ কয়েকটি বারান্দা এবং বসার ঘর রয়েছে। উপরিউক্ত বিভাগগুলো ছাড়াও, এই বিল্ডিং কমপ্লেক্সে নেস্টেড বাগান রয়েছে যেগুলো একটি অপরটি থেকে বেশ কয়েক সারি দেয়াল দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। বাগানগুলো একই রকম নয় এবং প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা সাজসজ্জা এবং চিত্র রয়েছে।

এই প্রাসাদটি, যা বুশেহর শহরের পরিচয় হিসাবে বিবেচিত হতো, তা ছিল কাজার যুগে এই শহরের একটি অনন্য এবং আকাশচুম্বী দালান যেটি ব্রিটিশ আগ্রাসনকারীদের দ্বারা অধিকৃত এবং তাদের সামরিক সদর দফতরে পরিণত হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে এই প্রাসাদে বসবাসের পর প্রাসাদের আসল মালিক মোহাম্মদ মাহদি মালেক আল-তুজ্জার দেউলিয়া হয়ে গেলে ব্রিটিশ দখলদাররা খুব কম দামে এর চমৎকার জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যায়। রেজা শাহের রাজত্বের শেষ বছরগুলোতে এই প্রাসাদটি একটি সামরিক ছাত্রাবাসে পরিণত হয়েছিল এবং বেশ কয়েকবার এর সংস্কার সাধন করা হয়েছিল।

মালেক ম্যানশন, বুশেহর
কাজার যুগ

:

:

:

: