এজেন্সি
ফোর্গ দুর্গ, দক্ষিণ খোরাসান

ফোর্গ দুর্গ, দক্ষিণ খোরাসান

ফোর্গ দুর্গ, দক্ষিণ খোরাসান

ফোর্গ দুর্গ: ১৮ শতকে নির্মিত ফোর্গ দুর্গ ইরানের দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের দারমিয়ান কাউন্টির ফোর্গ গ্রামে অবস্থিত- যা ইরানের আফশারি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নাদের শাহ আফশারের আদেশে ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল । এটি মির্জা রফি খান দুর্গ নামেও পরিচিত।

পাথর, ইট, কাদামাটি, কাঠ, মর্টার, প্লাস্টার ও মাটি দিয়ে তিনটি স্তরে এবং দুটি শক্তিশালী প্রাচীর,অসংখ্য ওয়াচটাওয়ারসহ একটি পাথুরে পাহাড়ের উপরে এই ঐতিহাসিক দুর্গটি নির্মিত হয়েছে। দুর্গের পাশে আবাসন ব্যবস্থা,চারপাশে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য জায়গা রাখা ইত্যাদি একটি ইরানি দুর্গের  বৈশিষ্ট্য।

দুর্গটির তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে যার মধ্যে পূর্ব দিকে অবস্থিত প্রথম অংশে রয়েছে একটি গোলাবাড়ি, যেখানে কর্মীদের থাকার জন্য ঘর, গবাদিপশুর জন্য গোয়ালঘর,একটি খাদ্যগুদাম, পশুখাদ্যের গুদাম এবং একটি জলাধার রয়েছে। এই অংশে একটি প্রবেশদ্বার এবং গার্ড টাওয়ারও রয়েছে।

দ্বিতীয় অংশটি একটি লম্বা কেন্দ্রীয় স্থান যেখানে সৈনিক ও নিরাপত্তা রক্ষীরা বাস করত এবং স্থানটি অস্ত্রাগার ও সেনানিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও এখানে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন দুটি মসজিদ এবং দোতলা স্থাপনা রয়েছে যেখান থেকে গ্রামের ও এই এলাকার রাস্তাসমূহ দেখা যায়।

তৃতীয় অংশটিই হলো দুর্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি দুর্গের একান্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত হতো। এখানে শাসক ও তাঁর সঙ্গীরা বসবাস করতেন। এই স্থানটিকে দুটি টাওয়ার এবং একটি লম্বা সুরক্ষিত প্রাচীর দ্বারা দ্বিতীয় অংশ থেকে পৃথক করা হয়েছে। প্রবেশকক্ষ,সংযোগকারী করিডোর, আস্তাবল, খাদ্য সংরক্ষণাগার, ওয়াচ টাওয়ার এবং অন্যান্য স্থাপনার অস্তিত্ব এই অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

দুর্গটিতে মোট ১৮টি টাওয়ার ছিল যার মধ্যে বর্তমানে ১৩টি অবশিষ্ট রয়েছে। এই দুর্গের অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে দুটি ভূগর্ভস্থ টানেল,যার একটিতে ৩৪০টি ধাপ রয়েছে এবং এটি নিকটবর্তী কৃষিক্ষেত্রের দিকে বিস্তৃত আর দ্বিতীয় টানেলটি গ্রামের নদীর দিকে বিস্তৃত।

এই দুর্গটি কাজার আমলের শেষের দিক থেকে পাহলভি আমলের শুরু পর্যন্ত একটি সীমান্ত সামরিক চৌকি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

ফোর্গ দুর্গ, দক্ষিণ খোরাসান
১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দ
আফশারি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নাদের শাহ আফশার

:

:

:

: