আয-যাহরা বিশ্ববিদ্যালয়
তেহরানের ভানাক গ্রামে অবস্থিত বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য নির্মিত আয-যাহরা (আ.) বিশ্ববিদ্যালয়টি ফারসি ১৩৪৩ সালে (১৯৬৪ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সময়ে এটি ‘গার্লস হাই স্কুল’ নামে ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করে এবং বিদেশী ভাষা অনুবাদ, সাচিবিক বিদ্যা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগ ছাড়াও ‘গার্হস্থ্যনীতি’ শিরোনামে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালু হয়। ১৩৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে (১৯৭৫-১৯৭৬ খ্রি.),গার্লস হাই স্কুল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় এবং ১৩৫৬ (১৯৭৭ খ্রি.) সাল থেকে এটি সকল বিষয়কে ৪টি অনুষদের অধীনে নিয়ে আসে : মৌলিক বিজ্ঞান, সাহিত্য, মানবিক বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি এবং শিল্পকলা।
ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর একই কাঠামোর অধীনে ‘মোতাহার আয-যাহরা সা.’ নামে তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। ১৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আল-যাহরা ইউনিভার্সিটির অনুষদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভৌত কাঠামো ছাড়াও আরও রয়েছে: ল্যাবরেটরি, দর্শনীয় স্থান, বিশেষ ওয়ার্কশপের স্থান, অ্যাম্ফিথিয়েটার, সুইমিং পুল,রেস্তোরাঁ, জিমনেসিয়াম,ব্যাংক,পোস্ট অফিস ও কিন্ডারগার্টেন। আল-যাহরা বিশ্ববিদ্যালয় তার দশটি অনুষদ, দুটি ক্যাম্পাস,একটি শাখা,দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান,একটি গ্যালারি এবং একটি অধ্যয়ন কেন্দ্র নিয়ে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং সংক্রান্ত টাইমস ইন্সটিটিউটের প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী,আল-যাহরা (সা.) ইউনিভার্সিটি ৪০১+ তম স্থান লাভ করেছে। ২০২১ সালে টাইমস ইনস্টিটিউটের র্যাঙ্কিংয়ের ফলাফলে এশিয়ার ৫৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান (উপাত্ত) দেখানো হয়েছে,যার মধ্যে ৪৭টি ইরানি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষদ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটসমুহ
সাহিত্য অনুষদ
ধর্মতত্ত্ব অনুষদ
ক্রীড়া বিজ্ঞান অনুষদ
সমাজ বিজ্ঞান ও অর্থনীতি অনুষদ
প্রশিক্ষণ ও মনোবিজ্ঞান অনুষদ
গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদ
জীববিজ্ঞান অনুষদ
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন অনুষদ
শিল্পকলা অনুষদ
উরুমিয়ে শাখা
নারী গবেষণা ইনস্টিটিউট
ইকোনমিক স্টাডিজ
রিসার্চ ইনস্টিটিউট
গবেষণা ইউনিট
অ্যানালাইসিস অ্যা্ন্ড বায়ো অ্যানালাইসিস রিসার্চ সেন্টার
ফলিত অণুজীববিদ্যা এবং অণুজীব প্রযুক্তি গবেষণাকেন্দ্র
সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান স্টাডিজ
আয-যাহরা বিশ্ববিদ্যালয় | |
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়বসাইটের লিঙ্ক হলো: https://en.alzahra.ac.ir/ |