এজেন্সি
খার্ক দ্বীপের প্রাচীন কবরস্থান, বুশেহর

খার্ক দ্বীপের প্রাচীন কবরস্থান, বুশেহর

খার্ক দ্বীপের প্রাচীন কবরস্থান, বুশেহর

খার্ক দ্বীপের প্রাচীন কবরস্থান সাসানি যুগের শেষের দিক এবং সেই সময়ের জরাথ্রুস্টদের সাথে সম্পর্কিত। এই কবরস্থানটি খার্ক প্রবাল দ্বীপের পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত। এই কবরস্থানে অনেকগুলো কবর রয়েছে এবং অল্প গভীরতা এবং কয়েকটি কবরের বৃত্তাকার পৃষ্ঠের কারণে বলা যেতে পারে যে, এই কবরস্থানটি ছিল তৎকালীন জরাথ্রুস্টদের।

এছাড়াও কিছুসংখ্যক কবরের ছোট ছোট প্রবেশপথ রয়েছে এবং সেগুলোর উপর ক্রুশের চিত্র রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, খ্রিস্টানরাও এই কবরস্থানে তাদের মৃতদেরকে কবর দিত। পুরুষদের কবর থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি,তবে মহিলাদের কবরে ছোট কাচপাত্রের -সম্ভবত সুগন্ধির-পাশাপাশি কম দামী গহনা, যেমন আংটি এবং ব্রোঞ্জের আয়না পাওয়া গেছে।

যদিও বেশ কিছু সমাধি অক্ষত রয়েছে,কিন্তু বছরের পর বছর ধরে দ্বীপটির ক্রমাগত দখলের পর অন্য কবরগুলো হয় খনন করা হয়েছে অথবা পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছে। সবগুলো কবরই খনন করা হয়েছিল পাথরের মধ্যে আর যেহেতু কবরগুলোর নিচের অংশে কিবলার দিকে মুখ করে আয়তাকার গর্ত করা হয়েছিল সেজন্য সেখানে প্লাস্টারের তৈরি আবরণও স্থাপন করা হয়েছিল।

খার্ক দ্বীপে বিদ্যমান মন্দিরের বৈচিত্র্য ও সংখ্যা থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে যে,ঈসা (আ.)-এর জন্মেরও আগে থেকে এই দ্বীপে ইরানি,গ্রীক,পালমারিয়ান ও আরবদের মতো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় বসবাস করত।

খার্ক দ্বীপের মানুষের পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে বর্তমানে একটি অগ্নি মন্দির,একটি গ্রীক মন্দির,একটি মঠ,একটি নেস্টোরিয়ান গির্জা,একটি পুরানো মসজিদ এবং দ্বীপের পূর্ব অংশে একটি প্রাচীন কবরস্থানই কেবল অবশিষ্ট রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিশ্বের বৃহত্তম চারটি ধর্ম এই দ্বীপে বিভিন্ন আকারে বিদ্যমান ছিল।

প্রাচীনত্ব এবং নির্মাণের ধরনের কারণে এই প্রাচীন কবরস্থানটি খার্ক দ্বীপের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।

খার্ক দ্বীপের প্রাচীন কবরস্থান, বুশেহর

ইসলামিক কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন হল ইরানি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যেটি সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিভুক্ত; এবং 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[আরও]

:

:

:

: