এজেন্সি
ইবনে সিনার সমাধি, হামেদান

ইবনে সিনার সমাধি, হামেদান

ইবনে সিনার সমাধি, হামেদান

ইবনে সিনা সমাধি হলো বিখ্যাত ইরানি দার্শনিক,বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক আবু আলি সিনার সমাধি। এই স্মৃতিস্তম্ভটি হামেদানের আবু আলি সিনা স্কয়ারে অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক স্কয়ারের সুবিধাজনক অবস্থান এবং এটিতে সহজ প্রবেশ করতে পারার সুবিধা হামেদান শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেক লোককে এই সমাধিটি দেখার জন্য আকৃষ্ট করে। চিকিৎসা ও দর্শনে ইবনে সিনার খ্যাতি তাঁকে বিশ্বজনীন ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তাই এই মহান দার্শনিকের সমাধি দেখতে আসা পর্যটকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

ইবনে সিনার বর্তমান সমাধিটি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু সাঈদ দাখোকের বাড়িতে অবস্থিত এবং আবু সাঈদকেও ইবনে সিনার পাশে সমাহিত করা হয়। এই সমাধিটির প্রাথমিক ভবন কাজার যুগে (১৭৮৯-১৯২৫ খ্রি.) নির্মিত হয়েছিল এবং নতুন সমাধিটি মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির আদেশে ইরান ন্যাশনাল হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং ১৯৫৪ সালে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এই চমৎকার স্মৃতিস্তম্ভের স্থপতি হলেন হোশাং সেইহুন। এই সমাধির বর্তমান পরিকল্পনাটি ইবনে সিনার সময়কালের বিশিষ্ট ও প্রখ্যাত স্থাপত্যকর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং এটি ইরানের প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী এবং ইসলাম-পরবর্তী ইরানি স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ। এই স্থাপনার মূল উপাদানসমূহ, যেমন : গম্বুজের অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে গনবাদ-ই কাবুস (কাবুস গম্বুজ) থেকে,বাগানটির নির্মাণশৈলী পারস্যের বাগান নির্মাণশৈলী দ্বারা প্রভাবিত, ঝরনাটি ইরানের ঐতিহ্যবাহী ঝরনা দ্বারা অনুপ্রাণিত আর আলভান্দ পর্বতের বড় ও রুক্ষ গ্রানাইট দ্বারা সজ্জিত সম্মুখভাগটি প্রাচীন ইরানি প্রাসাদের প্রতিনিধিত্ব করছে। এই সকল উপাদানের অনুপ্রেরণা ইরানের ঐতিহ্যগত স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি আধুনিক শৈলী থেকে নেওয়া হয়েছে।

সমাধির গম্বুজটিতে ১২টি কলাম রয়েছে,যা ইবনে সিনার সময়কালের ১২টি বিজ্ঞানের প্রতীক যেগুলো সম্পর্কে ইবনে সিনা জ্ঞান রাখতেন। সমাধিতে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি হল রয়েছে। সমাধির দক্ষিণ হলটি মুদ্রা,মৃৎপাত্র, ব্রোঞ্জ এবং খ্রিস্টপূর্ব সহস্রাব্দ এবং ইরানের ইসলামি ইতিহাস সম্পর্কিত অন্যান্য আবিষ্কৃত বস্তু রাখার জন্য একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর উত্তর হলটিতে ইরানি ও বিদেশী মূল্যবান বইয়ের একটি পাঠাগার রয়েছে।

ইবনে সিনার সমাধি, হামেদান

:

:

:

: