তার
তার
‘তার’ বা স্ট্রিং হলো বহুল ব্যবহৃত ও সুপরিচিত ইরানি বাদ্যযন্ত্রের নাম। এই যন্ত্রটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি হয়েছিল। তার নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জাদুকরী ইরানি যন্ত্র। আখরোট বা তুঁত কাঠ হলো তার তৈরির প্রধান উপকরণ, এর অন্যান্য উপকরণ হলো পাতলা ভেড়ার চামড়া এবং ধাতব তার। তার বাদ্যযন্ত্রটির সমস্ত বাঁক ও প্রান্ত এমনভাবে তৈরি করা যে, শিল্পীকে এটিকে আরও আরামদায়কভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে।আমরা বলতে পারি যে, তার চৌদ্দ থেকে সতেরো শতকের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত তারের বাদ্যযন্ত্রসমূহের অন্তর্ভুক্ত যার ছয়টি তার রয়েছে; পাঁচটি তার ইস্পাতের এবং একটি পিতলের। তুঁত কাঠ খোদাই করে তারের আকৃতি দেয়া হয় যা দেখতে দুটি বাটির মতো। এতে ভেড়ার চামড়ার একটি পাতলা ঝিল্লিও ব্যবহার করা হয় যা এটির শেষ পর্যন্ত প্রসারিত। ফিঙ্গার বোর্ডে প্রায় ২৬টি তরঙ্গ রয়েছে এবং বাদকরা একটি ছোট প্লেকট্রাম দিয়ে তার বাজিয়ে থাকে।
তার | |
সেতার
সেতার
সেতারের উৎপত্তি প্রাচীন পারস্যের প্রাচীন তানবুরে। সেতারের আক্ষরিক অর্থ হলো তিনটি তার। আবার চারটি তারের রয়েছে; দুটি ইস্পাতের তার এবং দুটি পিতলের। এই ইরানি বাদ্যযন্ত্রের ফিঙ্গারবোর্ডে ২৫-২৬টি তরঙ্গ তন্তু রয়েছে।
এই প্রশান্তিদায়ক শব্দযন্ত্রের উপাদান হলো তুঁত কাঠ এবং এর স্বাভাবিক আকার প্রায় ৮৫/২০সেন্টিমিটার ১৫ সেন্টিমিটার গভীর বাটি আকৃতিসহ)। এটি একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ইরানি বাদ্যযন্ত্র যা বেশিরভাগই সুফিরা বহন করেন ও বাজান।
‘তার’ বাদ্যযন্ত্রটির বিপরীতে সেতার সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এবং এতে ভেড়ার চামড়ার ঝিল্লি নেই। এটি সরাসরি নখ, বিশেষ করে তর্জনী দিয়ে বাজানো হয় এবং প্লেকট্রামের কোন প্রয়োজন নেই।
সেতার | |