ইরানের গ্লাসওয়্যার এবং সিরামিক জাদুঘর
ইরানের গ্লাসওয়্যার এবং সিরামিক জাদুঘর
গ্লাসওয়্যার এবং সিরামিক জাদুঘর যা পূর্বে আবগিনেহ নামে পরিচিত ছিল তা ১৯৮০ সালে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
জাদুঘরটি ১৯১৫ সালে রেজা শাহের সরকারের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে এবং ১৯৫৩-৬০ সাল পর্যন্ত এটি মিশরের দূতাবাস হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
তাই বোঝাই যায় যে, বিল্ডিংটির স্থাপত্যগত মূল্য রয়েছে।
আবগিনেহ জাদুঘরে দুটি তলায় প্রদর্শনীসমূহ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে মধ্যযুগের শুরুর দিকের চমকপ্রদ ‘নিশাপুর’ স্লিপ-পেইন্টেড সিরামিক, ১২ থেকে ১৩ শতকের কাচের কাজ,
যা ইরানে কাচ তৈরির স্বর্ণযুগ হিসাবে পরিচিত; গোরগান এবং অন্যান্য স্থানে খননকৃত চাকচিক্যময় পণ্যদ্রব্য, তাখ্ত-ই সোলেমান থেকে প্রাপ্ত ১৪ শতকের মৃৎশিল্প
এবং আরো পরে সাফাভি এবং কাজার আমলের সিরামিক কর্ম।
বেশিরভাগ কাচ,প্রায় ২৬০টি কাচের জিনিসপত্র গ্লাসওয়্যার ও সিরামিক জদুঘরের নিচতলায় প্রদর্শিত হয়।
আবগিনেহ জাদুঘরের বিভিন্ন বিভাগ
ইরানের সিরামিক জাদুঘরের দ্বিতীয় তলাটি রাশিয়ান শৈলীতে কাঠের ধাপ দ্বারা তৃতীয় তলার সাথে সংযুক্ত।
বিল্ডিংটি মিশরীয় দূতাবাসে রূপান্তরিত হওয়ার আগে জাদুঘরের প্রবেশদ্বারটি গম্বুজ আকৃতির ছিল কিন্তু পরে সেটি চ্যাপ্টা করা হয়েছিল।
আবগিনেহ জাদুঘরে প্রদর্শিত বস্তুগুলো প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে সমসাময়িক ইরান পর্যন্ত সময়ের অন্তর্গত।
বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরীণ দেয়ালে ইরানি পণ্ডিতদের দ্বারা সঞ্চালিত প্রচুর সূক্ষ্ম প্লাস্টারওয়ার্ক রয়েছে।
দ্বিতীয় তলায়, জাদুঘরের প্রবেশপথে,হলটি খননকাজ চলছে এমন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর অবস্থানকে প্রদর্শন করে।
দেয়ালে মানচিত্রসমূহ রয়েছে যেগুলো ইরানি মালভূমির প্রাচীন অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি প্রাচীন সভ্যতার সময়কাল নিরূপণের একটি কার্যকর সময়সূচিও প্রদর্শন করে।
ইরানের গ্লাসওয়্যার এবং সিরামিক জাদুঘর | |