এজেন্সি
চেহেলখানেহের প্রাচীন গুহা, বুশেহর

চেহেলখানেহের প্রাচীন গুহা, বুশেহর

চেহেলখানেহের প্রাচীন গুহা, বুশেহর

সাদাবাদ শহরের কাছে জিরাহ গ্রামে অবস্থিত মনুষ্যসৃষ্ট চেহেলখানেহ গুহা একটি ট্র্যাপিজয়েডাল প্রবেশদ্বার সহ বেশ কয়েকটি সমাধিকক্ষ নিয়ে গঠিত,যা শাপুর নদীর পাশের পর্বতশ্রেণিতে তৈরি করা হয়েছিল।

গুহাগুলোর অভ্যন্তরীণ আকার বিভিন্ন ধরনের। বন্যার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক ক্ষয়কারকের বিরুদ্ধে পর্বতের শিলা উপাদানগুলোর প্রতিরোধের কারণেই এই ভিন্নতার সৃষ্টি হয়েছে। এই সমাধিকক্ষগুলো ভিতর থেকে পরস্পর সংযুক্ত এবং এগুলোর প্রতিটিতে কুলুঙ্গি ও জলপ্রবাহ তৈরি করা হয়েছে। কিছু সমাধিকক্ষ সময়ের সাথে সাথে এবং প্রাকৃতিক কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।

কক্ষগুলোর সামনের বারান্দায় একটি প্যাসেজ এবং বসার জায়গা রয়েছে যা সম্ভবত অধিবাসীদের সুরক্ষার জায়গা হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও,পাথর ও মাটির তৈরি কিছু সিঁড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় যেগুলো হয়তো নিচের অংশে এবং নদীতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো।

কক্ষের তৃতীয় সারির উপরে গ্রানাইট পাথর কাটার জন্য ব্যবহৃত খোদাই করা কুঠারের অবশিষ্টাংশ রয়েছে। একইভাবে গুহার বাইরের প্রবেশপথের উপরে খোদাই করা একটি আয়তাকার পাথরের শিলালিপির স্থানও স্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। বৃহত্তর সমাধিকক্ষের ভিতরে কিছু স্বতন্ত্র কলামও রয়েছে যেগুলোকে সম্ভবত কক্ষটিকে সাজানোর জন্য বা ভিন্নতা সৃষ্টির জন্য পাহাড়ের শিলা দিয়ে একক খণ্ড হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

অনেক সমাধিকক্ষের অস্তিত্বের কারণেই গুহাটি ‘চেহেলখানেহ’ (চল্লিশটি ঘর) নামে পরিচিত হয়েছে। যদিও বর্তমানে গুহায় মাত্র ২৩টি সমাধিকক্ষ রয়েছে।

কিছু কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এটি অতীতে একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় কেন্দ্র ছিল যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বসবাস করতেন এবং তাঁদের ধ্যানচর্চায় মগ্ন থাকতেন। তবে যেহেতু বৌদ্ধধর্ম ইরানে তেমনভাবে প্রচলিত ছিল না,তাই এই তত্ত্বের সম্ভাবনা খুবই কম। সকল সম্ভাবনায় বলা যায়,এই স্থানটি সাসানি যুগে ইরানের সরকারি এবং জাতীয় ধর্মের অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতো বা এটি ছিল ‘নীরবতার টাওয়ার’, যেখানে জরাথ্রুস্টরা তাদের মৃতদেরকে রাখত অথবা এটি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল অথবা এটি অপরাধীদেরকে বন্দি করে রাখার একটি স্থান ছিল।

চেহেলখানেহের প্রাচীন গুহা, বুশেহর

:

:

:

: