আরবাইন : ইমাম হোসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের স্মরণ
রাশিদ রিয়াজ –
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (আ.)-এর শাহাদাত থেকে চল্লিশ দিন পর তাঁর কারবালার মাজারে ভক্ত অনুসারীরা ছুটে যান। কিন্তু কেন? ছকে বাঁধা জীবনের মোহ থেকে মুক্তি পেতে সত্যের পথে ধাবিত হয়ে চিরন্তন অনুসারী হিসেবেই তাঁরা সেখানে যান। মিশে যান সমাবেশে। এ দিবসটি পালনই হলো আরবাইন। ‘আরবাইন’ আরবি শব্দ ও এর মানে হচ্ছে চল্লিশ। ফারসি শব্দ ‘চেহলুম’ বা উর্দু ‘চেহলাম’ শব্দের অর্থও চল্লিশ যা বাংলায় চল্লিশা হিসেবে সুপরিচিত। এ দিন কারবালায় ইমাম হোসাইনের মাজারটি ইসলামের অনুসারীদের অংশগ্রহণে এক সংগ্রামী কাফেলায় পরিণত হয়। তাঁরা আসেন বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে। সত্য প্রতিষ্ঠায় আরো বেগবান হওয়ার শপথ নিয়ে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন নিজেদের গন্তব্যে। প্রখর খরতাপ, কখনো বালু ঝড়, অজানা শঙ্কা কোনো কিছুই তাঁদের পথ আটকে রাখতে পারে না। পায়ে হেঁটে তাঁরা অবিরাম গন্তব্যে ছোটেন। পিপাসা, ক্ষুধা, পায়ে ফোস্কা পড়ে গেলেও তাঁরা ক্ষণিক বিশ্রাম নেন তারপর ফের রওয়ানা দেন। ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর কারবালার প্রান্তরে সেই বিয়োগান্তক ঘটনার পর মানুষ হক ও বাতিলের পার্থক্য ধরে রেখে হকের পক্ষেই অবস্থান বুঝাতে এই কাফেলায় যোগ দেন। বরং তাঁদের মনে থাকে এ গর্ব যে, তাঁরা হকের পথ অনুসরণ করেই যাঁর যাঁর দেশ থেকে এসে মানব¯স্রোতে মিশে গেছেন। ইরান, লেবানন, আজারবাইজান, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, সিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপের কোনো কোনো দেশ থেকে তাঁরা আসেন এবং অনিবার্য এক আদর্শিক শপথে বলীয়ান হয়ে ওঠেন। ইরাকের নাজাফ থেকে কারবালা ৫০ মাইলের এ পথযাত্রা নির্ধারিত হয়ে থাকে ১৪শ’ পোলের মাধ্যমে। এধরনের পোলকে গন্তব্য ধরে শত সহস্র মানুষ আগাতে থাকেন এক মিলন মেলায়। প্রায় দুই দিন ও দুই রাত্রির যাত্রা পথে থেমে থেমে ইবাদতে মশগুল হয়ে পড়েন, ফের যাত্রা শুরু করেন ধীর স্থির এক লক্ষ্যপানে।
আরবাইনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই মূলত এসব নারী ও পুরুষ বা তাঁদের সঙ্গে শিশুরা, এমনকি বয়স্করা পথ চলতে শুরু করেন প্রস্তুতি পর্বের অংশ হিসেবে। ইমামের অতুলনীয় বীরত্ব, সাহসিকতা ও আপোসহীনতাই তাঁদের কাছে পার্থিব প্রস্তুতির অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে, যা তাঁদের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে ধাবিত করে আরবাইনে। অসাধারণ সংকল্প নিয়ে তাঁরা দিন রাত অবিরাম এক শহর থেকে অন্য শহরে নির্বিঘেœ ও নিরবচ্ছিন্ন পথে হাঁটেন, সংকল্পগুলো ধরে রাখেন। এদেরই একজন পাকিস্তানের গিলগিট থেকে আসা রাগিব হুসেইন বলেন আরবাইনে তাঁর জীবন পাল্টে যাওয়া অভিজ্ঞতার কথা। তুরস্কের ‘আনাদোলু এজেন্সি’কে বলেন, ‘ভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি, ভাষাভাষির মানুষ এক মোহনায় এসে মিলিত হচ্ছে এবং কি এক ঐক্য আমাদের একীভূত করছে যা সব ধরনের শয়তানি কার্যক্রম থেকে মানবতাকে রক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। এদৃশ্য আমি কখনোই ভুলব না। এ এক আবেগময় অভিজ্ঞতা।’ আজারবাইজান থেকে এসেছিলেন আন্না ফাতেমেহ। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সমাবেশের চেয়ে আরবাইন অতিরিক্ত কিছু। গত তিন বছর ধরে আমি আরবাইনে যোগ দিচ্ছি। প্রতিবারই নিজেকে চেতনাগত দিক থেকে সমৃদ্ধ করছি এবং তা বিস্ময়কর। এই পদযাত্রা প্রত্যেককে সত্য, ন্যায় বিচার ও স্বাধীনতা চিনে নিতে সাহায্য করে। মানবতার জন্যই আমরা এতে যোগ দেই।’
অনেক অমুসলিম আরবাইনে যোগ দেন। ২০১৯ সালে ব্রিটেনের এক বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র ৩০ বছরের জেমস বলেন, ‘দুই বছর ধরে পরিকল্পনার পর আমি আরবাইনে যোগ দিয়েছি।’ একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন থেকে আলী মেহেদি আরবাইনে এসে বলেন, ‘কারবালা সত্য সম্পর্কে বলতে শিক্ষা দেয় এবং যারা নির্বাক তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে ও সোচ্চার হতে সাহায্য করে। দুর্বল, শক্তিহীন ও নিপীড়িতদের সমর্থনে এই পদযাত্রা এক চিৎকার।’ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হুমকি সত্ত্বেও আরবাইনে যোগ দেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ‘আনাদোলু’কে ইরানের ইসলামি চিন্তাবিদ শেখ জারিয়ে খোরমিজি আরবাইনের পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে বলেন, ‘কারবালার উত্তরাধিকার হলো সত্য বনাম মিথ্যা, সঠিক বনাম পেশীশক্তি, ন্যায়বিচার বনাম নিপীড়ন ও গৌরব বনাম ঘৃণার।’
নাজাফ থেকে আরবাইনের পথচলা শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষ। স্থানীয়রা তাঁদের প্রয়োজনে স্টল খোলেন, পানীয়, মিস্টি ও খাবার নিয়ে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানান। নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত পথের মোড়ে মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একইভাবে স্বাগত জানান, মসজিদগুলোতে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত পথযাত্রীদের খোঁজ নেন। প্রচুর পরিমাণে অতিথিদের জন্য খাবার তৈরি করেন তাঁরা। ভেড়ার মাংস, গ্রিল করা মাছ, সবজি, রুটি, ভাত আরবাইনে অংশ নেয়াদের খাওয়াতে পেরে স্থানীয়রা পরম তৃপ্তি লাভ করেন। তাঁরা তাঁবু গেড়ে অপেক্ষায় থাকেন মানুষের, কালো ইরাকি চা, উলের কম্বল নিয়ে আগ্রহ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। কারো প্রয়োজন মেটাতে পারলে তাঁরা যারপর নাই খুশি হন। মোবাইল বাথরুম, টয়লেটের ব্যবস্থা থাকে যাতে দ্রুত গোসল সেরে নেয়া যায়। থাকে অ্যাম্বুলেন্স জরুরি চিকিৎসার জন্য। মরুভূমির এই পদযাত্রায় দিনে প্রখর খরতাপ আর রাতে কঠিন ঠাণ্ডা। লেবানন থেকে আসা হুসেইন আল-হাদি বলেন, অপরিচিত মেহমানদের সেবা করে তাঁরা মেহমানদারির এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেন। আতিথেয়তার ধারণা পাল্টে যায়। অতিথিদের জন্য প্রয়োজন মেটাতে পেরে নিজে সম্মানিত হন। পথের বাঁকে দেখা যায় কোনো দম্পতি খেঁজুর নিয়ে অপেক্ষা করছেন যদি অতিথিকে আপ্যায়ন করার সুযোগ মেলে। এমনি এক দম্পতি জানান, ‘প্রতিটি মাসে অল্প অল্প করে সাধ্যমত কিছু সঞ্চয় করেছি যাতে তা আরবাইনে আগতদের জন্য খরচ করতে পারি। অতিথিরা যেন কোনো অভিযোগ করার সুযোগ না পান।’ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হলেও, তাঁদের আয়ের উৎস স্বাভাবিক হয়ে না এলেও তাঁরা এমন আতিথেয়তা থেকে বিরত থাকতে পারেন না। অন্তত দশটি দিন ইরাকি নাগরিকরা আরবাইনে আগতদের জন্য সেবা দিতে তাঁদের হৃদয়ের দরজা খুলে দেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরবাইনে মানুষের যোগ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠলেও আন্তর্জাতিক মূলধারার মিডিয়ার কাছে তা উপযুক্ত মনোযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু কেন? এবং এটি বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এক সময় ইরাকে আহলে বাইতের অনুসারীরা খালি পায়ে আরবাইনে যোগ দিতেন। ইতিহাসের কোনো এক সন্ধিক্ষণে তা বাদ যায়। ১শ’ বছর আগে তা ফের চালু হয়। কিন্তু ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে (১৯৭৯-২০০৩) আরবাইন নিষিদ্ধ ছিল। যাঁরা লুকিয়ে আরবাইনে অংশ নিতেন তাঁদেরকে হিংস্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সাদ্দাম সরকারের আমলে কারবালা অভিমুখে এধরনের পদযাত্রায় সামিল হওয়া কারো কারো পা কেটে নেয়ার মতো নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে। এরপর রাতের অন্ধকারে কিংবা বিকল্প পথে খেঁজুর বাগানের মধ্য দিয়ে সন্তপর্ণে আরবাইনে যোগ দিতেন অনেকে। সাদ্দামের পতনের পর ফের লোকজন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খালি পায়ে কারবালা অভিমুখে আরবাইনে যোগ দিতে শুরু করেন। আরবাইনের দিনে বা এ ধর্মীয় যাত্রার শেষ দিনে তাঁরা কারবালায় পৌঁছে যান। আরবাইনের সময় এলেই ইরাকের সকল রাস্তার গন্তব্য যেন আরবাইনমুখী হয়ে পড়ে। এখন বছরে ২০ মিলিয়ন মানুষ আরবাইনে যোগ দিচ্ছেন। গত তিরিশ বছর ধরে ইরাকের জনগণ অবরোধ, স্বৈরাচারী সারকার, যুদ্ধ, বিদেশি দখলদারিত্ব ও আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ত্রাস মোকাবেলা করে আসছে। ইরাকের দক্ষিণ অঞ্চলে সিংহভাগ শিয়ারা বাস করেন। ওই অঞ্চলের আল-ফাও এলাকা থেকে ৬৬৭ কিলোমিটার হেঁটে শিয়ারা আরবাইনে যোগ দিতেন। ২৪ মুহররম থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করতেন এবং ২৬ দিন তাঁরা একটানা হেঁটে আরবাইনের আগেই কারবালায় পৌঁছতেন। বিভিন্ন শহরের মানুষ তখন হিল্লাহ শহর দিয়েই আরবাইনে যোগ দিতেন। তবে ইরাকের বাইরে অন্য যেসব দেশ থেকে যাঁরা আরবাইনে যোগ দিতে আসেন তাঁরা তা শুরু করেন নাজাফ থেকে। এখানেই হযরত আলী (আ.)-এর মাজার। নাজাফ থেকে কারবালার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। আরবাইনের দিন যাঁরা কারবালায় পৌঁছতে চান তাঁদের জন্য সফর মাসের ১৬ তারিখে যাত্রা শুরু করা ভালো। যাত্রাপথে বিশ্রাম ও খাবার গ্রহণের সময় ‘মওকেব’ হিসেবে পরিচিত। এসময় অনেকে নামাজ আদায় করে নেন। ইরাকি নাগরিকরা ‘মওকেব’-এর আয়োজন করে থাকেন। ধর্মীয় দিক থেকে মূল্যবান হওয়া ছাড়াও আরবাইনের বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
প্রথমত, আরবাইন বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থার বিপরীতে একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি করে। ধর্ম এবং এর মূল্যবোধ ও চিহ্নগুলো রক্ষায় বিপুল সংখ্যক ধর্মীয় ও অনুপ্রাণিত লোকÑ যাঁরা অনুসারী হিসেবে অস্তিত্বের জানান দেন। এ এক নতুন বিকল্প শক্তির উৎস যা অন্য কোনো উপায়ে অনুকরণ করা যায় না এবং ফলাফলগুলো ইসলামি বিশে^র স্বার্থ ও নীতিগুলোর অগ্রগতির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আরবাইন যাত্রায় অংশ যাঁরা নেন তাঁদের মধ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক সুবিধা ও সীমাহীন সম্ভাব্য শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা তাঁকে যে কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করার ও প্রতিরোধের সক্ষমতা তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, আরবাইন বিশ^মানবের কাছে একটি কাক্সিক্ষত জীবন যাত্রার আদর্শ উপস্থাপন করে। ক্ষণিকের এই জীবনে কয়েক দিন মানুষ তার সমস্ত পার্থিব সম্পদ ত্যাগ করে ক্ষতিকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি এবং একে অপরকে সাহায্য করার জন্য সময়কে মূল্যবান করে তোলে। মানুষ পার্থিব সম্পদ জমানোর সন্ধানে নয় বরং প্রত্যেকে আরো আধ্যাত্মিকতা অর্জনের চেষ্টা করে। মানুষ একে অপরের সেবা করতে পছন্দ করে এবং অন্যকে সহায়তা করার জন্য প্রতিযোগিতা করে। আসলে এটি বলা যেতে পারে যে, আরবাইন মানুষকে এক নতুন জীবন দান করে।
তৃতীয়ত, আরবাইন মানুষের সামাজিক-রাজনৈতিক জ্ঞান এবং মননশীলতার বৃদ্ধি ঘটায়। আরবাইন চলাকালে মানুষের মাঝে রাজনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক নানা ইস্যুতে তথ্য ও ভাবের বিনিময় হয়। এতে সবাই ধর্মীয় জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ পায়। আরবাইন পদযাত্রায় এ দিকটি ইমাম হোসাইন (আ.)-এর কারবালায় যাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেমনটি তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নামাজে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের অজ্ঞতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে মুক্তি দাও।’
চতুর্থত, আরবাইন যাত্রা আধ্যাত্মিকতাকে আরো গভীর করে। এবং তা অর্জনের উপায় হিসেবে ইসলামি শিক্ষাগুলোর সম্মিলিত আচার-আচরণ ও ইবাদতের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। ব্যক্তিগত ইবাদতের পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে ইবাদতের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক মিলনকে আরো বাড়িয়ে দেয়। সম্মিলিত এ আন্দোলনে নির্জন প্রার্থনায় নিজেকে সঁপে দেয়া ও শোক করা, দান করা, তাপ-তৃষ্ণা এড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আরবাইন যাত্রীরা আধ্যাত্মিকতার স্পর্শ লাভ করেন। ইমাম হোসাইন (আ.) তাঁর অনুসারীদের নিয়ে কারবালায় যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তার স্মরণে লাখো মানুষ এখন আরবাইনে যোগ দেন। ইমাম হোসাইন অসত্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাদের কাছে এক আদর্শিক প্রতীক হয়ে উঠেছে। ন্যায়বিচার ও আত্মমর্যাদাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাঁরা এক অনুপ্রেরণার উৎস সন্ধানে কারবালার প্রান্তরে ধাবিত হন। কারবালার যুদ্ধ, ইমাম হোসাইন (আ.), তাঁর জীবন ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট এক ধারণা নিয়ে ফেরেন তাঁরা।
আরবাইন : ইমাম হোসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের স্মরণ | |