মারইয়াম মোকাদ্দাস
হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের ষোল বছর আগে যখন লোকেরা প্রতিশ্রুত মসীহের জন্মের জন্য অপেক্ষা করছে তখন ইমরান ও আন্না দম্পতির একটি কন্যাসন্তান হয় এবং আন্না এই সন্তানের নাম রাখেন ‘মারইয়াম’। যেহেতু কন্যাসন্তানের মা অঙ্গীকার করেছিলেন যে, তাঁর সন্তানকে উপাসনালয়ের খেদমতে উৎসর্গ করবেন তাই তিনি এই মেয়েকেই উপাসনালয়ের খেদমতে দিয়ে দিতে চান। কিন্তু ইহুদি ধর্মযাজকরা কন্যাসন্তানকে উপাসনালয়ের সেবায় নিয়োগের বিরোধীতা করে। হযরত যাকারিয়া (আ.) ইহুদি ধর্মযাজকদের সমস্ত বিরোধিতা সত্ত্বেও তাকে উপাসনালয়ে অন্য সেবকদের থেকে পৃথক একটি জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করেন।
ছয় বছর বয়সে মারইয়ামকে উপাসনালয়ে উপস্থাপন করা হয় এবং ষোল বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত পুরোহিতের রক্ষণাবেক্ষণে সেখানেই থাকেন। যদিও ইহুদি পুরোহিতরা তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।
নির্জনতায় থাকাকালীন মারইয়াম তাঁর সমস্ত সময় শ্রম ও প্রার্থনায় ব্যয় করেন। তিনি এমন পবিত্রতা অর্জন করেছিলেন যে জিবরাঈল (আ.) তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে সংবাদ দেন যে, তিনি একজন পবিত্র পুরুষের জন্ম দেবেন।
মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মারইয়াম কোনো পুরুষের সংস্পর্শে আসা ছাড়াই গর্ভধারণ করেন এবং এটি লোকদের মধ্যে সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। সকলে তাঁকে ধিক্কার দিতে থাকে। পুরোহিত হেরোড মারইয়ামকে পুড়িয়ে মারতে চায়। মারইয়ামের কাছে শিশুটির জন্মের ব্যাপার জানতে চায়। মারইয়াম আল্লাহর আদেশমতো নীরব থাকেন আর শিশুটি কথা বলে ওঠে। তিনি যে আল্লাহর নবি ঈসা (আ.) সেটি ঘোষণা করেন এবং তাঁর মায়ের পবিত্রতার স্বাক্ষ্য দেন।
অভিনয়ে: শবনম কলিখানি, পারভেজ পুরহোসেইনি, মোহাম্মদ কাসবি, জাফর দেহগান, যাহরা সাইদি, মাহদী ফকিহ, হোসেইন বারি, মারইয়াম রাযাভি প্রমুখ
মুক্তির তারিখ : ২৭ জুলাই ২০০১
মারইয়াম মোকাদ্দাস | |
0 | |
প্রযোজনা: এম এ আলি আকবারি | |
পরিচালক: শাহরিয়ার বাহরানি |