শিগগিরই রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে যাচ্ছে ইরান ও মিশর
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মিশর শিগগিরি পূর্ণাঙ্গ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে এবং এর অংশ হিসেবে দুই দেশ তেহরান ও মিশরে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মিশর শিগগিরি পূর্ণাঙ্গ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে এবং এর অংশ হিসেবে দুই দেশ তেহরান ও মিশরে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। মিশরের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা গতকাল (শুক্রবার) এই তথ্য জানিয়েছেন।
মিশরের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদের সদস্য রাখা আহমাদ হাসান রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুৎনিকের আরবি বিভাগকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, খুব শিগগিরি ইরান এবং মিশরের মধ্যে রাষ্ট্রদূত বিনিময় হতে পারে। তিনি বলেন, মিশরের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির বিজয়ের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি যে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে কায়রো ও তেহরানের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
রাখা হাসান বলেন, মিশরের প্রেসিডেন্টকে ইরানের প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে অভিনন্দন জানানোর সময় দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্বহাল এবং গাজা উপত্যকা ও লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
মিশরের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক পরিষদের এই সদস্য বলেন, দু দেশের বর্তমান সম্পর্ক এই ইঙ্গিত দেয় যে, শিগগিরি দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত মোতায়েন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি ওমানের শাসক সুলতান হাইসাম বিন তারিক এই লক্ষ্যে একটি আঞ্চলিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।”
রাখা হাসান বলেন, ইরান ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হলে আঞ্চলিক সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ সময় তিনি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার সাম্প্রতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আরব বিশ্বে ইরানের যুক্ত হওয়ার বিষয়টিতে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লেনদেনই বাড়বে না বরং তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত পাহলভী শাসককে আশ্রয় দেয়া এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করার কারণে ইরান মিশরের সাথে ১৯৮০ সালের সম্পর্ক ছিন্ন করে।#
পার্সটুডে