বিপ্লবের পর ইরানের নৌবাহিনীর উন্নতি অবিশ্বাস্য
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার পর ইরানের নৌবাহিনী যে উন্নতি সাধন করেছে তা অবিশ্বাস্য এবং উল্লেখযোগ্য।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার পর ইরানের নৌবাহিনী যে উন্নতি সাধন করেছে তা অবিশ্বাস্য এবং উল্লেখযোগ্য।
ইরানের নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী তেহরানে নৌবাহিনীর একদল কমান্ডার সর্বোচ্চ নেতার সাথে আজ (মঙ্গলবার) সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় এই প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা।
তিনি বলেন, বিপ্লব সফল হওয়ার পর প্রথম দিককার বছরগুলোতে এটা কল্পনারও বাইরে ছিল যে, ইরানের নৌ বাহিনী দেশের পানিসীমার বাইরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু এখন ইরানের নৌবাহিনী সারা বিশ্ব পরিভ্রমণ করছে এবং সেটি করছে যথেষ্ট শক্তিমত্তারের সাথে যা ইরানি জনগণের জন্য গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানের নৌবাহিনী দেশের জন্য বিরাট বড় সক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দেশের নৌবাহিনী যে সক্ষমতা অর্জন করেছে তার পাশাপাশি আরো নতুন সক্ষমতা তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে যাতে দেশ ও সমাজের জন্য নতুন আশা জাগ্রত হয়।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইরানি ৭ই অজার বা ২৮ নভেম্বরকে ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দিনকে নৌবাহিনীর আত্মত্যাগের দিন বলে অভিহিত করা উচিত। কাস্পিয়ান সাগরে ইরান যে ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করেছে তারও প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি ইরানি নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলগত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।#
পার্সটুডে
.