বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সাথে ইরানি কালচারাল কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বুধবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ও মতিবিনিময় হয়।
এ সময় ইরানি কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বলেন, ইরান ও বাংলাদেশ দুটি ভ্রাতৃ ও বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং দেশদুটির সংস্কৃতির অনেক ক্ষেত্রেই অভিন্নতা রয়েছে।বিশেষকরে ভাষাগত দিক থেকে অভিন্নতা লক্ষণীয়।বাংলাদেশের মানুষ তাদের দৈনন্দিন কথাবার্তায় প্রচুর ফারসি শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এ থেকে বুঝা যায় দেশদুটির জনগণের মধ্যকার সম্পর্কও কত গভীর। আমরা চাই শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতাকে আরো জোরদার করতে।
জবাবে একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ।ফারসি ভাষা যার অন্যতম নিয়ামক।অনেক ইরানি কবি ও সাহিত্যিক এদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।আমরাও চাই ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার অধিকারী এই দেশটির সাথে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে।তিনি বলেন, বাংলাএকাডেমি এরইমধ্যে ইরানের মহাকবি ফেরদৌসির কাব্যগ্রন্থ শাহনামা বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে এবং এটি এদেশের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়েছে।আর এই প্রশংসনীয় কাজে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বই কিনে আমাদের সহযোগিতা করেছে।আমরা চাই এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে।
.