নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন সিদ্ধান্তের ঘাটতি পরমাণু চুক্তি সইয়ের পথে বাধা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, মার্কিন সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অক্ষমতাই হচ্ছে তেহরান এবং পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি সইয়ের পথে প্রধান বাধা।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, মার্কিন সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অক্ষমতাই হচ্ছে তেহরান এবং পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি সইয়ের পথে প্রধান বাধা। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করতে হলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে কিন্তু আমেরিকা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সঙ্গে ইরানের জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত চুক্তি সইয়ের সুযোগ নেই। ফলে এটি এখন ভিয়েনা না সংলাপ সফল হওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে।
গতকাল (রোববার) রাজধানী তেহরানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপপ্রধান এনরিক মোরার সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেছেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ভিয়েনা সংলাপের ক্ষেত্রে এনরিক মোরা পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন।
বৈঠকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, “পরমাণু চুক্তি থেকে পূর্ণাঙ্গ সুবিধা গ্রহণ এবং কার্যকরভাবে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।"
পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এনরিক মোরা এবং সংস্থার পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তার প্রশংসা করেন হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরিপূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে ইরান ভিয়েনা সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে এবং চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে। এখন এই সংলাপ চূড়ান্তভাবে সফল করার জন্য অন্য পক্ষগুলোকে বিশেষ করে মার্কিন সরকারকে অবশ্যই বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে এনরিক মোরা সাম্প্রতিক আলোচনা ও ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি রিপোর্ট এবং নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। এর আগে তিনি ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক আলী বাকেরি কানির সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্র: পার্সটুডে
.