দুনিয়া মাতানো ইরানি গোলাপজল
মে মাসের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি। মধ্য ইরানের কাশান এবং এর আশপাশের শহর ও গ্রামগুলো যেন সাজে অপরূপ প্রাকৃতিক রূপে।

মে মাসের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি। মধ্য ইরানের কাশান এবং এর আশপাশের শহর ও গ্রামগুলো যেন সাজে অপরূপ প্রাকৃতিক রূপে। সাদা, লাল আর গোলাপি গোলাপ এর পাশাপাশি নানা প্রজাতির ফুল তৈরি করেছে নয়নাভিরাম দৃশ্য। সেখানে পা ফেলতেই যেন চার দিক থেকে বাতাসে ভেসে আসে ম-ম সুমিষ্ট ঘ্রাণ। মুহূর্তেই জুড়ে যায় মন। উৎসব হোক বা শোক, সব জায়গাতেই পবিত্রতার প্রতীক গোলাপজল। এমনকি খাবার, ওষুষ এবং রূপচর্চায়ও ব্যবহৃত হয় এই উপকরণটি।
আর গোলাপজল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। এর মনমাতানো সৌরভ শুধু ইরানেই নয়, ছড়িয়ে গেছে বিশ্বব্যাপী।
কথিত আছে, গোলাপের তেল ও গোলাপজলের অনেক চিকিৎসাগত উপকার আছে। গোলাপের তেল মানুষের মনে বয়ে আনে স্বস্তি । দূর করে বিষণ্নতা, দুঃখ, স্নায়ুবিক চাপ ও উত্তেজনা। পাশাপাশি ঠান্ডা নিয়াময় ও ত্বক্বের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গোলাপজল ছাড়াও গোলাপ তেল ব্যবহৃত হয় সুগন্ধি এবং ওষুধ তৈরিতে। যার বেশির ভাগই রফতানি হয় ফ্রান্সে।
সম্প্রতি কাশান শহরের গভর্ণর জানান, কাশানে বছরে ২ হাজার টন গোলাপজল ও তেল উৎপাদন হয়। যা রফতানি করে আয় হয় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ গোলাপজল ও তেল পারস্য উপসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ইউরোপে রফতানি হয়।
.