ঢাকায় ‘কুরআন মজীদে নৃতত্ব ’ ও ‘ইসলামের পথ-পরিক্রমা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদদের উপস্থিতিতে আজ বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘ কুরআন মজীদে নৃতত্ব’ ও ‘ইসলামের পথ-পরিক্রমা’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদদের উপস্থিতিতে আজ বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘ কুরআন মজীদে নৃতত্ব’ ও ‘ইসলামের পথ-পরিক্রমা’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সবুর খান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. আনোয়ারুল কবির। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. মাজিদ পুয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসানুল হাদি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক ও ‘ইসলামের পথ-পরিক্রমা’ শীর্ষক বইয়ের অনুবাদক তানজিনা বিনতে নূর ও কবি মাহমুদুল হক নিজামী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বই দুটি সম্পর্কে আলোচনায় বলেন, আধুনিক যুগের ফারসি ইতিহাস লেখক ও সমালোচনামূলক সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন আব্দুল হোসাইন জাররিনকুব। ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও অর্জনকে তুলে ধরেছেন তিনি তার বিখ্যাত "করনমেয়ে ইসলাম" বইটিতে, যার বাংলা অনুবাদ "ইসলামের পথ-পরিক্রমা" বইটি। বিশ্ব ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিনির্মানে ইসলাম ও মুসলিমদের যে অবদান, তা ইউরোপীয় গবেষকদের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখিত বইগুলোতে ঠিক সেভাবে উঠে আসে না, যেভাবে আসা উচিত। সেই জায়গাতেই এই বইটির স্বার্থকতা ও অনন্যতা যে বইটি ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তার পথচলার ইতিহাসকে তুলে ধরেছে। মানবসভ্যতার বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্র, যেমন- দর্শন, ইতিহাস, চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির যে অনন্য অবদান, তাই গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই বইটিতে। বাংলাদেশে যারা ইসলাম ও বিশ্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করেন, তাদের জন্য বাংলা ভাষায় এই বইটির সংস্করণ অন্যতম একটি রিসোর্স হয়ে থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, আত্মিকতা ও মননশীলতার সংকটের বর্তমান যুগে যখন সত্যের ও মানবতার দুশমনরা প্রতি মুহুর্তে বিভিন্ন ধরনের উন্নততম হার্ডওয়ার ও সফটওয়োর উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে ক্রমবর্ধমানহারে লেখ্য এবং দর্শনীয় ও শ্রবনীয় প্রচার -উপকরণ ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বের ওপর স্বীয় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখন সত্যান্বেষীদের সুসংবাদ নিয়ে এসেছে কোরআন মজিদে নৃতত্ব শীর্ষক বইটি। এর মাধ্যমে লেখক ইসলামের খ্যাতনামা মনীষীগণের বিচারবুদ্ধিজাত ও উদ্ধৃতিযোগ্য জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ও কোরআন মজীদের জ্ঞানের মহাসমুদ্রে অবগাহন করে নিগূড় সত্যের মনিমুক্তা বিশ্বের মানব সমাজের সামনে পেশ করেছে। তারা বলেন, ‘মজীদে নৃতত্ব’ ও ‘ইসলামের পথ-পরিক্রমা’বইয়ের মতো ইরানের খ্যাতিমান লেখকদের বইগুলোর বাংলা অনুবাদ বাংলাদেশের মানুষেরর জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।