জাতিসংঘে ইসরাইলের অপরাধজ্ঞের নিন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: প্রেসিডেন্ট রায়িসি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি ওই প্রস্তাবকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি গতকাল (রোববার) তেহরানে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দাম্ভিক ও আধিপত্যকামী শক্তিগুলোর হুমকি ধমকি সত্ত্বেও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস হওয়ার ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোট পাস হওয়া এক প্রস্তাবে ইসরাইলের নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার শিকার গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবটির পক্ষে ১২০ দেশ এবং বিপক্ষে আমেরিকা ও ইসরাইলসহ মাত্র ১৪ দেশ ভোট দেয় আর ৪৫ দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। এর আগে দুই সপ্তাহ ধরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে চারবার প্রস্তাব পাসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্বের সকল মুসলিম ও স্বাধীনচেতা জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে আরো যেসব পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সেগুলোর মধ্যে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন অন্যতম।
তিনি বলেন, দখলদার ইসরাইল আমেরিকার রাজনৈতিক, গণমাধ্যম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজার নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালালেও নিজের হারানো ভাবমূর্তি আর কোনোদিন ফিরে পাবে না। যুদ্ধক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইহুদিবাদী বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ব্যাপক মার খেয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পর্যবেক্ষণ সঠিক হয়ে থাকলে গাজা উপত্যকা অচিরেই ইসরাইলি সেনাদের জন্য একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হবে।#
পার্সটুডে
.