গণহত্যার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক জোট গঠন জরুরি
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও কিউবা আন্তর্জাতিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও কিউবা আন্তর্জাতিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ (সোমবার) কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ কানেল ও ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি এ আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের চলমান সংকট মোকাবালায় দুই দেশ বৈঠক থেকে অভিন্ন অবস্থান ঘোষণা করে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট আজ ঐতিহাসিক সফরে তেহরান পৌঁছান। এরপর আজই প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে মিগুয়েল দিয়াজের বৈঠক হয়।
ইরানি প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর নীরবতার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরাইলের যুদ্ধ মেশিন বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়নি। রায়িসি বলেন, “দুঃখজনকভাবে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব এই হৃদয়বিদারক অপরাধযজ্ঞে সমর্থন দিচ্ছে।” এসময় তিনি কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের কঠোর সমালোচনা করেন।
রায়িসি দুঃখ করে বলেন, ইসরাইলকে আমেরিকার সরবরাহ করা যুদ্ধ মেশিন থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক কোনো ব্যবস্থাই উপযুক্ত নয়। জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, আরব লীগ এবং অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, এরা সবাই যোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, চলমান বাস্তবতায় অন্যায্য বিশ্ব ব্যবস্থার বদলে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের যেসব মানুষ তাদের মাতৃভূমি ও জীবন রক্ষার চেষ্টা করছে তাদেরকে শত্রুরা হত্যা করছে যার কারণে ইরান ও বিশ্বের সব জাতি খুবই দুঃখিত।
বৈঠকে কিউবার প্রেসিডেন্ট হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক হত্যার নিন্দা করেন এবং গাজায় দ্রুত যুদ্ধাবসানের আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি তিনি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কথা বলেন। দিয়াজ বলেন, গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে তার নিন্দা জানানোর জন্য ইরান ও কিউবা একসাথে কাজ করবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।#
পার্সটুডে