ক্যারাভানসেরাইয়ের জন্য ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে পারে ইরানের সেমনান
চলতি বছর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে ইরানের সেমনান প্রদেশের একগুচ্ছ ক্যারাভানসেরাই।
চলতি বছর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে ইরানের সেমনান প্রদেশের একগুচ্ছ ক্যারাভানসেরাই। আর ক্যারাভানসেরাইয়ের জন্যই ইউনেস্কোর মর্যাদা লাভের আশা করছে প্রদেশটি। অদূর ভবিষ্যতে ক্যারাভানসেরাই নিয়ে ইরানের দাখিল করা জাতীয় দলিলগুচ্ছ মূল্যায়ন করবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
ইরানোলজি ফাউন্ডেশনের সেমনান শাখার পরিচালক শনিবার বলেছেন, এবছর ইউনেস্কোর তালিকায় (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের) নিবন্ধিত হওয়া বেশিরভাগ ক্যারাভানসেরাই এই প্রদেশের। হাসান শাদপুর বলেন, এখন পর্যন্ত ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞরা সেমনানে ছয়টি ক্যারাভানসারির মূল্যায়ন করেছেন। রাজনৈতিক ভূগোল (ভূরাজনীতি) এবং ভূগোলের দিক থেকে সেমনান অঞ্চলের একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এটি একসময় প্রাচীন সিল্ক রোডে ছিল। গত বছর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় সম্মিলিতভাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ৫৬টি ক্যারাভানসেরাই সামনে নিয়ে আসে। সাসানিদ (খিস্টাব্দ ২২৪ থেকে ৬৫১) থেকে কাজার যুগ (১৭৮৯ থেকে ১৯২৫) পর্যন্ত বিভিন্ন যুগে এই ধরনের বিশাল সরাই গড়ে ওঠে। ক্যারাভানসেরাই একটি যৌগিক শব্দ যা “ক্যারাভান” এর সাথে “সেরাই” (বা “সারা”) যুক্ত হয়েছে। আগেরটির অর্থ ভ্রমণকারীদের একটি দল এবং পরবর্তীটির অর্থ ভবন। প্রাচীনতম ইরানি ক্যারাভানসেরাইগুলি আচেমেনিড যুগের (৫৫০ থেকে ৩৩০ খ্রিস্টপূর্ব)। কয়েক শতাব্দী পরে যখন শাহ আব্বাস প্রথম ১৫৮৮ থেকে ১৬২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তখন পরাক্রমশালী সাফাভিদ সম্রাট সারা দেশে ক্যারাভানসেরাইয়ের একটি নেটওয়ার্ক নির্মাণের নির্দেশ দেন। সূত্র: তেহরান টাইমস।
.